রাতের আকাশ, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ—মহাবিশ্বের অপার রহস্য আমাদের সব সময় মুগ্ধ করে। ফটোগ্রাফার বা আলোকচিত্রীরা ক্যামেরায় সেসব রহস্যের কিছু ধারণ করতে পারেন। প্রতিবছর ইংল্যান্ডের রয়েল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচ আয়োজন করে ‘অ্যাস্ট্রোনমি ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতা। সেখানে নিজেদের অসাধারণ দক্ষতা ও সৃজনশীলতা প্রদর্শন করেন বিশ্বের সেরা জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক ফটোগ্রাফাররা।
এ বছর ১৬তম ‘অ্যাস্ট্রোনমি ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতায় ৫৮টি দেশের পেশাদার ও শখের আলোকচিত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি ছবি জমা পড়ে। সেখান থেকে বাছাইকৃত সেরা ছবিগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
আর্কটিক ড্রাগন
আর্কটিক ড্রাগন নামে পরিচিত এটি একটি অরোরা। আইসল্যান্ডের আর্কটিক হেঞ্জ থেকে এই অসাধারণ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। সে রাতে আইসল্যান্ডের বেশির ভাগ জায়গাই ছিল মেঘাচ্ছন্ন। কিন্তু হেঞ্জের আকাশ ছিল পরিষ্কার। সেখান থেকেই ছবিটি তুলেছেন কারিনা লেটেলিয়ার বায়েজা।
পূর্ণ সূর্যগ্রহণ
পূর্ণ সূর্যগ্রহণ সম্ভবত প্রকৃতির সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলোর একটি। আর এই নান্দনিক ছবিটি তুলেছেন গুয়েনেল ব্ল্যাঙ্ক। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তিনি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন সূর্যগ্রহণ দেখতে। ৬২ সেকেন্ড স্থায়ী হয় এ সূর্যগ্রহণ। এর মধ্যেই তিনি অসাধারণ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। তাঁর তোলা ৭টি ছবির সমন্বয়ে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে।
এম১০০ ও সেরেস
একটি সর্পিলাকার গ্যালাক্সির বাহুতে একটি বামন গ্রহ। নাম সেরেস। এই সুন্দর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন ফটোগ্রাফার ড্যামন মিচেল স্কটিং। গ্যালাক্সির তুলনায় এই বামন গ্রহ আরও বেশি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। ছবিটি তুলতে তিনি প্রায় টানা ৮ ঘন্টা ব্যয় করেছেন।
সর্পিল গতি
এই ছবিটি স্নেটশাম সৈকতকে কেন্দ্র করে তোলা। জোয়ারের সময় এই সমুদ্রের পানি শুকিয়ে যায়, দেখা যায় কাদামাটি। এ জন্যই সমুদ্রটি বিখ্যাত। ছবিতে একটা জেটি বা জাহাজঘাটা দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত হয়েছিল এই জেটি। ছবিতে আকাশ ও পাতাল যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ছবিটি তুলেছেন পল হাওয়ার্থ।
গ্যালাক্সিখেকো
সিজি৪ (কমেটারি গ্লোবিউল ৪) মহাকাশের ধূলিকণা ও গ্যাসের অদ্ভুত এক আকৃতি। পাপিস তারকামণ্ডলে এর অবস্থান। এর মাথাটি প্রায় ১.৫ আলোকবর্ষ বিস্তৃত। ছবিটি তোলা হয়েছে একটি শক্তিশালী নিউটনিয়ান ৫০০ মিলিমিটার টেলিস্কোপের সাহায্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।