জুমবাংলা ডেস্ক : আইএমএফের শর্ত পূরণে আগামী অর্থবছরে এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এজন্য ছাড় কমানো, সিগারেটের কর বাড়ানোসহ তিনটি বিষয়ে জোর দেওয়ার চিন্তা করছে তারা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভ্যাট আদায় বাড়াতে ফাঁকি বন্ধে বেশি জোর দেওয়া উচিত।
এনবিআরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে ভ্যাট আদায় হবে এক লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এ ধারা বহাল থাকলে আগামী অর্থবছরে তা দাঁড়াবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটিতে। তবে আইএমএফের শর্ত পূরণে দরকার হবে আরও প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
আর এই অর্থ যোগাতে আগামী বাজেটে ভ্যাট ছাড় কমানো ও সিগারেটে কর বাড়ানোর কথা ভাবছে এনবিআর। পাশাপাশি, ফিসক্যাল ডিভাইস ব্যবহারে বাড়তি ভ্যাট আদায়ের আশাও তাদের।
তবে ভ্যাট আদায় বাড়াতে অব্যাহতি ও ফাঁকি বন্ধে কড়া উদ্যোগ চাইছেন অর্থনীতিবিদরা। তাতে এড়ানো যাবে জনজীবনের নেতিবাচক প্রভাব। তারা বলছেন, ভ্যাট ছাড়ের সিদ্ধান্ত সতর্কভাবে নিতে হবে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলছেন, ‘সাধারণ ভোক্তারা কিন্তু কর দিচ্ছেন। তবে, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো তা দিচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই আমরা জানতে পারি। কর ফাঁকি রোধ করে ভ্যাট আদায় বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হলেই কেবল সাধারণ মানুষের ওপর চাপ পড়বে না।’
সরকার খরচ কাটছাঁট করায় এ বছর ভ্যাট আদায় কম হচ্ছে। বেসরকারি আমদানি কমায় আদায়ও হচ্ছে কম। এনবিআর মনে করছে, সরকারি ব্যয় ও আমদানি না বাড়লে লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে। তবে রাজস্ব বাড়াতে হলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ চাইছেন ব্যবসায়ীরা।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি হুমায়ুন রশীদ বলেন, ‘আরও বেশি ভ্যাট আদায় করার যে চিন্তাটা, তা কিন্তু কাঠামোগত না। এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। এছাড়া ব্যবসাসুলভ পরিবেশও সৃষ্টি করতে হবে।’
২৮ এপ্রিল থেকে ঢাকায় আবারও শুরু হচ্ছে আইএমএফের সঙ্গে এনবিআরের আলোচনা। ভ্যাট বাড়ানোর এসব পরিকল্পনা গুরুত্ব পাবে ওই বৈঠকে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.