জুমবাংলা ডেস্ক: ২০১৯ সালের জুলাইতে নিয়োগ পাওয়া দু’জন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও এক সহকারী এটর্নি জেনারেলের নিয়োগ নিয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই তারিখ ঠিক করে আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া শুনানিতে ছিলেন। বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কফিল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ছয় আইন কর্মকর্তার বিষয়ে বার কাউন্সিল তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। কারণ গেজেটে ছয় জনের শুধু নাম আছে। কিন্ত ঠিকানা নেই। এরপর আদালত রুল শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই ১০৫ জন আইনজীবীকে এএজি ও ২১ জুলাই ৭০ জন আইনজীবীকে ডিএজি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। তিনি জানান, বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ এর ৩(৩) নম্বর আর্টিকেল-এর সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন। এ আর্টিকেল অনুযায়ী এএজি নিয়োগ পেতে হলে সুপ্রিম কোর্টে ৫ বছর আইনজীবী হিসেবে পেশায় থাকতে হবে। কিন্তু নিয়োগে আইনের এ শর্ত মানা হয়নি।
একই বছরে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং সহকারী এটর্নি জেনারেল আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়েরুল জারি করেন।
আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন জানান, আইন অনুযায়ী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হতে হলে সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ৬৭ বছর। কিন্তু এ দু’জন যখন নিয়োগ পান তাদের সময় তখন ৬৭ বছরের বেশি ছিল। এছাড়া সহকারী এটর্নি জেনারেল হতে হলে আইন পেশায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়, কিন্তু নিয়োগের সময় আল মামুনের অভিজ্ঞতা ছিল চার বছর দুই মাস। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।