এ মহাবিশ্বে আমরা যা কিখু চোখে দেখি তাকে পাঁচ শতাংশ হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। বাকি ৯৫% হচ্ছে ডার্ক মেটার বা ডার্ক এনার্জি। ডার্ক এনার্জি আবিষ্কারের শ্বাসরুদ্রকর গল্প রয়েছে যা আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে। এর পেছনের বিজ্ঞানটা এতটা কঠিন যে সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারে না।
প্রথমত মহাবিশ্ব কখনো স্থির থাকতে পারে না। এটি হয় প্রসারিত হতে হবে নয়তো সংকুচিত হতে হবে। তবে আইনস্টাইন প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, মহাবিশ্ব এখনো সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং ছায়াপথ আমাদের থেকে প্রতিনিয়ত দূরে সরে যাচ্ছে।
তবে সবথেকে মজার ব্যাপার হলো মহাবিশ্বের প্রসারণ হওয়ার হার বা গতি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাভিটিকে উপেক্ষা করেই এটা সংঘটিত হচ্ছে। ঠিক এখান থেকেই ডার্ক এনার্জি বা ডার্ক ম্যাটার এর ধারণাটি সবার সামনে আসে।
ডার্ক এনার্জি আসলে কি সেটি নিয়ে এখনও বড় পরিসরে গবেষণা বাকি রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বেশিদূর সামনে এগিয়ে যেতে পারেনি। তবে তারা কনফার্ম করতে সক্ষম হয়েছেন যে, ডার্ক এনার্জি বা ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব রয়েছে। তার উপস্থিতি মহাবিশ্বকে কীভাবে প্রভাবিত করছে সেটি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানে।
পৃথিবীর মোট শক্ত উপাদানের ৭০ শতাংশই হচ্ছে ডার্ক এনার্জি। ১৯৮৮ সালে মহাবিশ্বে গ্রাভিটির বিপরীতে অতিরিক্ত প্রেসার রয়েছে এরকম কিছু সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয়। ওই সময় এটাকে কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং তা ভুল হিসেবে স্বীকার করে না হয়।
পরবর্তী সময়ে বলা হয় যে এটি আসলে ডার্ক এনার্জির সূত্র এবং তা ভুল ছিল না। এখানে আরো একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে সূত্রের এই মারম্যাচ সংঘটিত হয়েছিল স্বয়ং আইনস্টাইনের মাধ্যমে। তিনি বিজ্ঞানী হাবল এর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কেননা ওই সময় মহাবিশ্বাস সম্প্রসারণ হওয়া নিয়ে হাবল চমৎকার কিছু প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।