স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জোয়ারে ভাসছে ক্রিকেট। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণ একই সঙ্গে যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনি আর্থিকভাবেও লাভজনক। তাই অন্যান্য সংস্করণকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে জনপ্রিয়তম হয়ে উঠেছে টি-টোয়েন্টি। আর এ বিপ্লবের নেপথ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, বিশেষ করে আইপিএলকেই দায়ী করা হয়। তবে এবার খোদ আইপিএলকে নিয়ে শঙ্কায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আইপিএল রেখেছে বিশাল ভূমিকা। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ, বড় বড় তারকাদের উপস্থিতি, চিত্তবিনোদনমূলক পার্টি -আইপিএল একটা জমজমাট প্যাকেজ। কোন গুণী চিত্রনাট্যকারের মাথা থেকে আসা দুর্দান্ত স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী যেন সব হয় এই মঞ্চে। তাইতো এর আর্থিক দিকটা ও চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরু করেছে বাকি ক্রিকেট লিগগুলোও।
অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ, ক্যারিবিয়ানের সিপিএল। পাকিস্তানের পিএসএল কিংবা বাংলাদেশের বিপিএল – কেউ অবশ্য আইপিএলের জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। ক্রীড়াবিশ্বে ব্র্যান্ড হিসেবে আইপিএল নিজের একটা স্বাতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিতে সমর্থ হয়েছে।
তবে এবার খোদ ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই শঙ্কায় -প্রতিদ্বন্দ্বী এসে গেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের! সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হতে যাওয়া নতুন দুটি লিগ চোখ রাঙানি দিচ্ছে আইপিএলকে। এই দুই টুর্নামেন্ট নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন বিসিসিআই।
বিসিসিআইয়ের উদ্বিগ্নতার অন্যতম কারণ হলো -নতুন এই দুই টুর্নামেন্টের মালিকানায় যে আছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরাও। দক্ষিণ আফ্রিকার লিগের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির সবগুলির মালিকানাই যে কিনে নিয়েছে আইপিএলের দলগুলোর মালিক। আরব আমিরাতের লিগেও আছে আইপিএলের সংশ্লিষ্টতা। মোট তিনটি দলের মালিকানায় রয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক। আর বিসিসিআইয়ের দুশ্চিন্তা বেশি আমিরাতের লিগ নিয়েই। কেননা, প্রথম আসরেই যে আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি পারিশ্রমিকের দিক থেকে পাল্লা দিচ্ছে আইপিএলের সঙ্গে।
আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘বিসিসিআই এই ব্র্যান্ড ‘আইপিএল’কে তৈরি করেছে। গোটা স্পোর্টিং বিশ্ব আইপিএলকে বিস্ময়ের চোখে দেখে। আমাদের নিজেদের ব্র্যান্ডকে তো সুরক্ষিত রাখতে হবে। আমরা খুব উদ্বিগ্ন যে, প্রতিটি বিদেশি লিগে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা দল কেনার মধ্য দিয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। তারা যেকোন জায়গায় স্বাধীনভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে, আইপিএলের ব্র্যান্ডকে যদি কোনোভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা সেটা কখনও করতে দেব না।’
আইপিএলের মর্যাদা রক্ষায় এবং জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে বিসিসিআই শুরু থেকেও গ্রহণ করেছে বেশকিছু পদক্ষেপ। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – কোন ভারতীয় ক্রিকেটার আইপিএল ব্যতীত বিশ্বের আর কোন লিগে খেলতে পারবে না। শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, এই নিয়ম প্রযোজ্য ঘরোয়া পর্যায়ের খেলোয়াড়দের জন্যও। এমনকি জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্যারিয়ার সায়াহ্নে থাকা তারকারাও অংশ নিতে পরবেন না বিদেশি কোন লিগে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।