স্পোর্টস ডেস্ক : প্যাট কামিন্সকে পেতে কী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটা না করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু! শেষ হাসিটা অবশ্য হেসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। গেল ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আগামী ২০২০ আসরের খেলোয়াড় নিলামে ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে (বাংলাদেশ মুদ্রায় ১৮ কোটি টাকারও বেশি) শাহরুখ খানের দল কিনে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসারকে।
চড়া দামে দল পেয়ে কামিন্স গড়েছেন রেকর্ডও। আইপিএলের ইতিহাসে তিনিই সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া বিদেশি ক্রিকেটার। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ডানহাতি গতিময় বোলার অর্থের অঙ্কে পেছনে ফেলেছেন বেন স্টোকসকে। ইংল্যান্ডের পেস অলরাউন্ডারকে দলে টানতে ২০১৭ সালের নিলামে ১৪ কোটি ৫০ লাখ রুপি খরচ করেছিল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট (বর্তমানে বিলুপ্ত)।
কিন্তু এত অর্থ কীভাবে খরচ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না কামিন্স। তিনি এখনও কোনো কিছু ঠিক করতে পারেননি। তবে তার বান্ধবী একটা রাস্তা ভেবে ফেলেছেন।
আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বক্সিং ডে টেস্টে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে কামিন্সের কাছে প্রশ্ন রাখা হয় অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি নিয়ে। জবাবে তার সরল উক্তি, ‘আমি জানি না কী করব। আমার বান্ধবী… প্রথমেই যা বলেছে তা হলো- আমরা এখন আমাদের কুকুরের জন্য অনেক বেশি খেলনা কিনতে পারব। সে তার চাহিদার মধ্যে কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবে তা ঠিক করে ফেলতে পেরেছে।’
আইসিসির টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে অনেক দিন ধরেই শীর্ষে আছেন কামিন্স। ওয়ানডেতে তার অবস্থান পাঁচ নম্বরে। তবে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বেশ পিছিয়ে কামিন্স। তিনি আছেন ২৩তম স্থানে। তাই বিশাল অর্থে দল পেলেও ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া আসরে নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ রয়েছে তার সামনে।
বিনয়ী কামিন্স তাই পা রাখছেন মাটিতে। ক্রিকেটের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি নিজেকে না বদলানোর সেরা চেষ্টাটা করব। আমি সৌভাগ্যবান যে আমার আশেপাশে ভালো মানুষদের পেয়েছি। আমার সতীর্থরা দারুণ। আমার পরিবার আর বন্ধুরাও। আমি এখনও ক্রিকেট খেলি কারণ আমি এটাকে ভালোবাসি। আমি ভাগ্যবান, যা কিছু ঘটেছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.