ফোনবাফ পরিচালিত সর্বশেষ ব্যাটারি ড্রেন টেস্টে জয়ী হয়েছে আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স। গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা এবং পিক্সেল ১০ প্রো এক্সএলকে পেছনে ফেলে এ সাফল্য পায় অ্যাপলের ফ্ল্যাগশিপ মডেল। গত মাসের স্পিড টেস্টে স্যামসাংয়ের জয়ের পর এবার পাল্টা জয় অ্যাপলের।
টেস্টের বিস্তারিত ফলাফল
টেস্টে আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স মোট ২৯ ঘন্টা ৫ মিনিট চালু ছিল। গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা টিকেছিল ২৭ ঘন্টা ৫০ মিনিট। পিক্সেল ১০ প্রো এক্সএল ব্যাটারি শেষ করে ২৬ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে। ওয়েব ব্রাউজিং এবং ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারের সময় গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা ভালো পারফর্ম করে।
স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি ড্রেন হয়। এই পর্বে পিক্সেল ১০ প্রো এক্সএল প্রথমে ব্যাটারি শেষ করে। তারপর ব্যাটারি ফুরায় গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রার। সর্বশেষ ব্যাটারি শেষ হয় আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের।
ব্যাটারি লাইফে কেন এই পার্থক্য?
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সে ব্যবহার করা হয়েছে এ১৯ প্রো চিপসেট। গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রায় আছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট। পিক্সেল ১০ প্রো এক্সএলে ব্যবহৃত হয়েছে টেনসর জি৫ প্রসেসর। সফটওয়্যার অপ্টিমাইজেশন এবং হার্ডওয়্যার এফিসিয়েন্সিতে অ্যাপল এগিয়ে।
তিনটি ফোনেই এলটিপিও ওলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট ১ হার্টজ থেকে ১২০ হার্টজ পর্যন্ত পরিবর্তনযোগ্য। স্ট্যান্ডবাই টেস্টে গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা বেশি ব্যাটারি সাশ্রয় করে।
ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ফোনবাফের টেস্টে স্পষ্ট হয়েছে, আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ব্যাটারি লাইফে শীর্ষে। গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। পিক্সেল ১০ প্রো এক্সএল তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে। ভবিষ্যত সফটওয়্যার আপডেটে এই ফলাফল পরিবর্তন হতে পারে।
জেনে রাখুন-
Q1: আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের ব্যাটারি কত ঘন্টা চলে?
ফোনবাফ টেস্ট অনুযায়ী, আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ২৯ ঘন্টা ৫ মিনিট চালু ছিল।
Q2: গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা ব্যাটারি টেস্টে কত পেয়েছে?
গ্যালাক্সি এস২৫ আল্ট্রা ব্যাটারি টেস্টে ২৭ ঘন্টা ৫০ মিনিট টিকেছে।
Q3: কোন ফোন প্রথমে ব্যাটারি শেষ করে?
পিক্সেল ১০ প্রো এক্সএল প্রথমে ব্যাটারি শেষ করে টেস্টে।
Q4: ব্যাটারি টেস্টে কত ঘন্টা স্ট্যান্ডবাই নেওয়া হয়?
টেস্টে ১৬ ঘন্টা স্ট্যান্ডবাই সময় ধরা হয়েছিল।
Q5: টেস্টটি কে পরিচালনা করে?
ফোনবাফ এই ব্যাটারি ড্রেন টেস্টটি পরিচালনা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।