আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের এওজ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুধখালী ইউনিয়নের এওজ বাজারে একটি চায়ের দোকানে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা উঠে। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মহসীন আকনের সঙ্গে বিএনপি নেতা শাহীন মুন্সির বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মহসীন আকন ও তার গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহীন মুন্সি ও তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে শাহীন মুন্সি, কামরুল মুন্সি, সেলিম মুন্সি, আনোয়ার মুন্সি, আলম মুন্সি, ইয়াসিন, পান্নু মুন্সি, মারুফ মুন্সি, সাইফুল মুন্সি, রাফিত মুন্সি, জুবায়ের মুন্তিসহ ১০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতদের মধ্যে পান্নু মুন্সির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে মাদারীপুর সদর থানায় দোষীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জুবায়ের মুন্সি বলেন, ‘বিএনপি করায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা মাদারীপুরের সাবেক এমপি শাজাহান খানের লোক। এখনো তারা আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, যাতে আমরা কোনো মামলা না করি।’
এ ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকা থেকে কিছুটা গা-ঢাকা দিয়েছে। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যারা দোষী তাদের বিষয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।