আজ এবং আগামীকাল রাতে বাংলাদেশের আকাশে মহাজাগতিক একটি দৃশ্য, উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। আকাশে উজ্জ্বল আলোর রেখা হিসেবে প্রদর্শিত এই ঘটনা আসলে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা ছোট ছোট উল্কাগুলোর সৃষ্ট। অনেকেই এই অনন্য ঘটনার প্রত্যক্ষ করতে উদগ্রীব থাকলেও, অনেকেই জানেন না উল্কাবৃষ্টি কী ও কেন ঘটে। এই প্রতিবেদনে উল্কাবৃষ্টি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
উল্কাবৃষ্টি কী?
উল্কাবৃষ্টি হলো এমন একটি ঘটনা যখন আকাশে অনেক উজ্জ্বল আলোর রেখা দেখা যায়, যা আসলে মহাকাশ থেকে আসা ছোট ছোট কণা বা উল্কাগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে জ্বলজ্বল করে ওঠে। এগুলোকে ‘শুটিং স্টার’ বা ‘উল্কা’ বলা হয়। যখন অনেক উল্কা একসাথে আকাশে পড়তে থাকে, তখন সেটিকে উল্কাবৃষ্টি বা উল্কাঝড় বলা হয়।
উল্কাবৃষ্টি কেন হয়?
উল্কাবৃষ্টি ঘটে যখন পৃথিবী মহাকাশে থাকা ধূমকেতু বা গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে ভরা কণা বা ধূলিকণার স্তর দিয়ে চলে। যখন এই কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণের কারণে এগুলো জ্বলতে থাকে এবং আকাশে উজ্জ্বল আলোর রেখার মতো দেখা দেয়।
উল্কাবৃষ্টি হলে কি পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হয়?
সাধারণত উল্কাবৃষ্টি পৃথিবীর জন্য কোনো ক্ষতিকারক নয়। অধিকাংশ উল্কা বায়ুমণ্ডলের মধ্যেই পুড়ে যায় এবং পৃথিবীর মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। বড় আকারের উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে পড়লে ক্ষতি হতে পারে, কিন্তু সেটা খুবই বিরল। পার্সাইড, লিরিড বা গেমিনিডের মত বার্ষিক উল্কাবৃষ্টি সাধারণত নিরাপদ।
কীভাবে উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে?
সঠিক সময়: উল্কাবৃষ্টি দেখা যায় নির্দিষ্ট কিছু রাতের মধ্যে, যেমন আগস্ট মাসের ১২ ও ১৩ তারিখে পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি।
আকাশ পরিষ্কার থাকা: মেঘমুক্ত ও অন্ধকার আকাশের নিচে থাকা ভালো।
আলো কম থাকা: শহরের আলো থেকে দূরে অন্ধকার স্থান নির্বাচন করুন।
আরামদায়ক অবস্থান: বিশ্রাম নিয়ে আরাম করে আকাশের দিকে তাকান।
ধৈর্য ধরুন: অনেক সময় একসাথে উল্কা দেখা যায়, আবার কখনো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।