বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : চলতি বছরের শুরুতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এটি ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী অগ্ন্যুিগরণগুলোর একটি। এ কারণে তা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিশ্লেষণ বলছে, সমুদ্রের তলার হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হা’পাই নামের আগ্নেয়গিরি এত বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে দেয়, যা সাময়িকভাবে ভূপৃষ্ঠকে গরম করতে সক্ষম ছিল।
নাসা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি টোঙ্গার রাজধানী থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে ওই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। ফলে প্রচণ্ড শব্দ ছাড়াও সুনামির সৃষ্টি হয়। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে একটি বিশাল জলরাশি বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে প্রবেশ করে। ভূপৃষ্ঠের ১২ থেকে ৫২ কিলোমিটারের মধ্যে এই স্তরের অবস্থান। নাসার স্যাটেলাইটের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় যে পরিমাণ পানি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে তা ৫৮ হাজার অলিম্পিক সাইজের সুইমিংপুলকে পরিপূর্ণ করতে সক্ষম। নাসার স্যাটেলাইট থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বিষয়টি শনাক্ত করা হয়। জলীয় বাষ্প, ওজোন গ্যাস এবং বায়ুমণ্ডলে থাকা অন্যান্য গ্যাসের পরিমাপ করে ওই স্যাটেলাইট। স্তরটিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ দেখে আশ্চর্য হয়ে যান বিজ্ঞানীরা। তাঁদের হিসাবে, টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ১৪৬ টেরাগ্রাম পানি (এক টেরাগ্রাম=এক ট্রিলিয়ন গ্রাম) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে প্রবেশ করে। এই পানি স্তরটিতে থাকা মোট পানির ১০ শতাংশের সমান।
সূত্র : সিএনএন
চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।