আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী এক ধরনের ‘আক্রমণাত্মক সুপার মশার’ কারণে আফ্রিকার শহুরে এলাকায় রোগটির প্রকোপ বাড়ছে। ওই মশার উদ্ভব মূলত এশিয়ায়। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, কোনো কীটনাশকই এই মশাকে বিলুপ্ত করতে পারছে না। ফলে হর্ন অব আফ্রিকার দেশগুলোতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়া ও আরব উপদ্বীপ থেকে যাওয়া অ্যানোফিলিস স্টেফেনসি মশার একটি স্বজাতি ওই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর দ্রুত বর্ধমান ম্যালেরিয়ার জন্য এগুলোই দায়ী।
জিবুতিতে নাটকীয়ভাবে বাড়ছে ম্যালেরিয়া। শহুরপ্রিয় এই মশাদের কারণে মাত্র আট বছরে ওই অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে প্রায় ২৮০০ শতাংশ। ২০১২ সালে প্রথমবার এই মশাটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল জিবুতিতে।
পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে দুর্দান্ত রকমভাবে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা আছে এই সুপার মশার। শহর অঞ্চলে মশা মারতে যে ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। তাতে এই মশাদের তেমন কিছুই হয় না। আর বহু ধরনের পানিতেও এই মশা বংশ বিস্তার করতে পারে। এমনকি এরা বোতলের ছিপিতেও বংশ বিস্তার করতে সক্ষম।
তাদের এই মানিয়ে নেওয়া ও কীটনাশকের প্রভাব থেকে বেঁচে চলার ক্ষমতাই আফ্রিকায় ফের ম্যালেরিয়াকে ভয়াবহ করে তুলছে।
সূত্র: টেলিগ্রাফ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।