আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে এখন পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তবে ভালো নেই তারা। ভাইরাস আতঙ্ক প্রতি মুহূর্তর গ্রাস করছে তাদের। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট। কয়েকগুণ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। অনেকে দেশে ফেরার আবেদন করেও ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় হতাশ।
চীনের হুবেই প্রদেশে এমন সঙ্কটের মধ্যেই দিন কাটছে কয়েক’শ বাংলাদেশির। ভালো নেই হুবেই প্রদেশের ইচাং শহরের চায়না থ্রি গর্জেস ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি ছাত্ররা। ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। ডর্মিটরি সিলগালা। নেই পর্যাপ্ত খাবার।
চীনে থাকা এক বাংলাদেশি বলেন, আমাদের ডর্মিটরি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের কারও সাথে যোগাযোগ নেই। আমরা বের হতে পারছি না। এমতাবস্থার কারণে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছি।
আরও এক বাংলাদেশি বলেন, প্রতিটা মুহূর্ত আমরা মৃত্যুর আতঙ্কে কাটাচ্ছি। চারপাশের পরিস্থিতি এমনই।
খাবারের সঙ্কট কিছুটা কেটেছে। সরকারের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে সরবরাহ। দোকান ও যোগাযোগ বন্ধ থাকায় অনেকে খাবার সংগ্রহ করছেন অনলাইনে। তবে সবচেয়ে বড় সঙ্কট ভাইরাসভীতি।
আরেক বাংলাদেশি বলেন, শুধু কি খাবারটা আসল? আমাদের ভয় ভাইরাসে। যে শহরে প্রতিনিয়ত লোকের মৃত্যু ঘটছে। সে শহরে থাকাটা অনেক মুশকিল।
আরেকজন জানান, আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিন। দরকার হলে আমাদের হাসপাতালে রাখা হোক। দেশে ফিরে যাইতে পারলে হয়। আমরা বাঁচতে চাই।
আরও এক বাংলাদেশি বলেন, আমরা চাই না আমাদের দেশের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ুক। আমরা চাই আমাদের শারীরিক পরীক্ষা করে যথাযথভাবে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হোক।
এরই মধ্যে দেশে ফিরতে চীনের বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করেছেন অনেকে। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের কাছে কোনও বার্তা নেই যে সহসায় তাদের দেশে আনা হবে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ৩১২ জনকে বাংলাদেশিকে চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ।
কোলাহল মুখর চীনের উহান শহর কখনও ঘুমায় না আর সেই শহরে এখন যেন মৃত্যুপুরি তার সাথে সুনসান নীরবতা। জনমানব শুন্য শহরে কেবল চাপা আতঙ্ক। রহস্যময় এক ভাইরাসে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ। প্রাণ যাচ্ছে দিনে ৭০ থেকে ৮০ জনের।
তথ্যসূত্র : ইন্ডিপেনডেন্টটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।