জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ঐচারচর গ্রামের কৃষক মোঃ সাত্তার মিয়া বাঙ্গি চাষে সফল হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আক্রমণে পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল তার জমি। বর্তমানে তার জমিতে সবুজ গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে বাঙ্গি। এখন জমির উৎপাদিত বাঙ্গি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের আক্রমণের সময় জমিতে আর ফলন আসবে এই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন কৃষক সাত্তার মিয়া। এখন তার জমিতে উঁকি দিচ্ছে বড় বড় বাঙ্গি। গাছ আবার জীবিত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে কৃষকের মনে। এখন তিনি বাঙ্গি গাছ থেকে কেটে জমির পাশে এনে ঝুড়িতে রাখছেন। প্রায় প্রতিদিন বিক্রি করছেন এই আগাম জাতের বাঙ্গি।
কৃষক মো. সাত্তার মিয়া বলেন, আমি প্রতি বছরই বাঙ্গির চাষ করি। এবছর ২ বিঘা জমিতে আগাম বাঙ্গির চাষ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট হচ্ছিল। ভেবে ছিলাম বাঙ্গি গাছ আর বাচঁবে না। আল্লাহর রহমতে পানি একদিনেই নেমে যাওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরো বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে শুধু তিতা পোকার ওষুধ দিয়েছি। জমি প্রস্তুত ও চাষ বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আকারভেদে একেকটি বাঙ্গি ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। আশা করছি আগামী দুই মাসে আরো লাখ খানেক টাকার বাঙ্গি বিক্রি করতে পারবো।
কালাই গোবিন্দপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষন করতে আমরা মাঠে যাই। গিয়ে অন্যান্য কৃষকের জমির পাশাপাশি সাত্তার মিয়ার জমি দেখে খুব খারাপ লেগেছিল। সাধারণত কুমড়াজাতীয় গাছ ১ দিনের বেশি দাঁড়ানো পানি সহ্য করতে পারে না। ফলে গাছ মারা যায়। তবে আল্লাহর রহমতে পানি এক দিনেই নেমে যাওয়ায় জমিতে আশানুরূপ ফলন এসেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, সাত্তার মিয়া একজন পরিশ্রমী কৃষক। এবছর তিনি পলি ব্যাগে চারা করে জমিতে রোপন করেছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ের পানে নেমে যাওয়ার পর আমরা তাকে জাবপোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ছিলাম। এখন তার জমিতে বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। তিনিও খুব খুশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।