
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা ছাড়াই দুই ধাপে মোট ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ সংলাপ করবে ইসি। ধাপে ধাপে অন্যান্য নিবন্ধিত দলকেও আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টিসহ সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, নিবন্ধন স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগকে সংলাপে ডাকা হয়নি।
এদিকে, গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে যে, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সংলাপে না ডাকা হোক। গতকাল বুধবার দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানায়।
সাক্ষাৎ শেষে রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “নিবন্ধনের অজুহাতে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে সংলাপে ডাকা সঠিক হবে না।”
আগামী ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। ঐ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলের এ সংলাপ হতে যাচ্ছে। আজ সকালে সংলাপে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর বিকালে ডাকা হয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম।
সংলাপে আওয়ামী লীগের শরিকদের আমন্ত্রণ জানালে আন্দোলন হতে পারে ইসিকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। চিঠিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দলীয় জোটসহ যারা ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বৈধতা দিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদেরকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কোনো সংলাপে না ডাকার অনুরোধ করছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে দলগুলোকে নিয়ে আলোচনা করেছে, শুধুমাত্র সেই দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনেরও সংলাপ করার আহ্বান করছি। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করতে পারে। সেটি নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



