আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘আজ মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে লকডাউন। এটা ভারতবাসীকে রক্ষা করার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই কথা ঘোষণা করলেন। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এমনই ঘোষণা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার রাত আটটাতেও মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ‘জনতা কার্ফু’-র ডাক দেন গত রবিবার। সেই ১৪ ঘণ্টার কার্ফুর পর থেকে গোটা দেশেই প্রায় কার্যত লকডাউন হয়েছিল। অবশেষে এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাত বারোটার পর থেকে গোটা দেশ সম্পূর্ণ লকডাউনে চলে যাবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে আর্জি জানান, বাড়িতে থাকতে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে প্রতিটি ভারতীয়, প্রতিটি পরিবারের জন্য।
তিনি আরও জানান, এর জন্য হয়তো দেশকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কিন্তু দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য এটাই করণীয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে হলে এই ২১ দিনের লকডাউন আবশ্যিক। যদি আমরা এই ২১ দিনকে সামলাতে না পারি তাহলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে। অনেক পরিবার চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আজকের লকডাউনের সিদ্ধান্তের অর্থ ‘লক্ষ্মণরেখা’ টেনে দেওয়া হল আপনার দরজায়। আপনি যদি এর এক ফুট বাইরেও যান, তাহলে করোনা ভাইরাস আপনার বাড়িতে ঢুকে পড়বে।”
তিনি বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই একমাত্র পথ।”
কেন্দ্র করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশগুলি করোনার মোকাবিলায় সাফল্য পেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সেই দেশের নাগরিকরা ঘরেই থেকেছেন এবং সরকারের নির্দেশ মেনে চলেছেন।
কাউকে কোনওরকম গুজব ও কুসংস্কারে কান না দিতে আর্জি জানান মোদি কোনও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি। সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।