জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর দক্ষিণখানের সরদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুর রহমানের (৫৪) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন নিহত আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৬)। দুজন পরিকল্পিতভাবে আজহারকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তাঁদের বিয়ে হলে তা আবদুর রহমানের জন্য হতো দ্বিতীয়, আসমার চতুর্থ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আবদুর রহমান ও আসমার বিয়ে করার কথা ছিল। আজহারকে হত্যা করতে দুজন পরিকল্পনা করেন বলে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।’ বুধবার (২৬ মে) বিকেলে র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসমা আক্তার প্রায়ই বলত যদি আজহারুলেকে হত্যা না করতে পারেন তাহলে তিনি নিজে আত্মহত্যা করব নয়তো ইমামকে হত্যা করবেন। হত্যাকাণ্ডের পরে আসমা ইমামকে বিয়ে করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
র্যাব সূত্র জানায়, গত রমজানের আগেই আজহারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। প্রথমে ভাড়াটে খুনির কথা ভাবা হয়। পরে আবদুর রহমান নিজেই হত্যার দায়িত্ব নেন। সে অনুযায়ী গত ১৯ মে তিনি আজহারকে ডেকে এনে হত্যা করে লাশ ছয় টুকরা করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। এরপর সব ধুয়েমুছে মসজিদে নামাজ পড়ান। ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত তিনি চার দিন নামাজ পড়ান। এ সময় নামাজে প্রতিবারই তিনি ভুল করেন।
আবদুর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ৩৩ বছর ধরে দক্ষিণখান এলাকার মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি আসমাকে প্রচণ্ড ভালোবেসে ফেলেছিলেন। তাঁর কথা রাখতে গিয়ে আজহারকে হত্যা করেছেন। তা না হলে আসমা নিজেই আজহারকে হত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। নিজেও মরবেন এবং তাঁকেও (আবদুর রহমান) মারবেন। অন্যদিকে আসমা র্যাবকে জানিয়েছেন, আজহারের আচার-আচরণ তাঁর ভালো লাগছিল না। এ কারণে তিনি পরকীয়ায় জড়ান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।