Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ইসলামিক উপদেশ:সফলতার চাবিকাঠি
    জাতীয় ডেস্ক
    ইসলাম ও জীবন

    আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ইসলামিক উপদেশ:সফলতার চাবিকাঠি

    জাতীয় ডেস্কMd EliasJuly 21, 20259 Mins Read
    Advertisement

    জীবনের প্রতিটি মোড়ে, প্রতিটি চ্যালেঞ্জে আমরা যেন হোঁচট খাই। পরীক্ষার হলে, ক্যারিয়ারের সাক্ষাৎকারে, সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা ব্যক্তিগত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে—এক অদৃশ্য ভয়, এক ধরনের নিজের উপর অবিশ্বাস আমাদের পিছু ছাড়ে না। এই আত্মসন্দেহের ভার কতটা ভারী, তা একমাত্র তারাই জানেন যারা প্রতিদিন এর সাথে লড়াই করেন। কিন্তু কী হবে যদি আপনাকে বলা হয়, আপনার মাঝেই লুকিয়ে আছে এক অমোঘ শক্তি, এক ঐশ্বরিক উপহার, যা এই দুর্বলতাকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে? ইসলাম শুধু ধর্মীয় বিধি-নিষেধের তালিকা নয়; এটি হল জীবন-বদলে দেওয়ার এক পূর্ণাঙ্গ পথনির্দেশ, যার কেন্দ্রে রয়েছে আল্লাহর উপর অটুট আস্থা আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অপার সম্ভাবনার সন্ধান। আর এই আস্থা ও সন্ধানই হল আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ইসলামিক উপদেশের মর্মকথা—যা শুধু পার্থিব সফলতা নয়, আখিরাতের অনন্ত সাফল্যেরও চাবিকাঠি।

    আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ইসলামিক উপদেশ

    আত্মবিশ্বাস: ইসলামের দৃষ্টিতে এক ঈমানী শক্তি

    “আত্মবিশ্বাস” শব্দটিকে পাশ্চাত্য মনোবিজ্ঞানের ফ্রেমে বন্দী করে দেখা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। ইসলামে আত্মবিশ্বাস হল “তাওয়াক্কুল আলাল্লাহ” (আল্লাহর উপর ভরসা) এবং “হুসনে যান বিল্লাহ” (আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ)-এর এক গভীর সমন্বয়। এটি কোনো অহংকারী আত্মম্ভরিতা নয়, বরং এক গভীর উপলব্ধি যে আমি আল্লাহর সৃষ্টি, তিনি আমাকে যা দিয়েছেন তা-ই যথেষ্ট, এবং তিনি আমার সাথে আছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:

    “আর যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” (সূরা তালাক, আয়াত: ৩)

    এই আয়াতটি আত্মবিশ্বাসের ইসলামিক ভিত্তিকে স্পষ্ট করে। আত্মবিশ্বাসের অর্থ এ নয় যে সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বরং, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা (জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ) এবং তারপর ফলাফলের দায়িত্ব আল্লাহর উপর সোপর্দ করার মধ্যে নিহিত সেই শান্তি ও দৃঢ়তাই হল প্রকৃত আত্মবিশ্বাস। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেই ছিলেন এর জীবন্ত উদাহরণ। মক্কার কঠিনতম দিনগুলোতে, যখন সংখ্যায় কম, শক্তিতে দুর্বল, তখনও তিনি দৃঢ়ভাবে জানতেন যে আল্লাহর সাহায্য আসবেই। এই দৃঢ় প্রত্যয়ই ছিল তাঁর আত্মবিশ্বাসের উৎস, যা ইতিহাস বদলে দিয়েছে।

    আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ৫টি মৌলিক ইসলামিক অনুশীলন

    ইসলাম শুধু তত্ত্ব নয়, বাস্তব জীবনে প্রয়োগের নির্দেশনা দেয়। নিম্নলিখিত অনুশীলনগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসের ভিত মজবুত হয়:

    1. নামাযে খুশু-খুজুর সাথে উপস্থিতি ও দোয়ার শক্তি:
      নামায শুধু আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; এটি আল্লাহর সাথে সরাসরি সংযোগের মাধ্যম। খুশু-খুজুর (বিনয় ও একাগ্রতার) সাথে নামায আদায় করলে আত্মিক শান্তি মেলে, যা মানসিক স্থিতিশীলতা আনে। রাসূল (সা.) বলেছেন, নামায হল মুমিনের জন্য মিরাজস্বরূপ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মাধ্যমে নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে আপনি আল্লাহর সাহায্য ও রহমতের কাছাকাছি আছেন, এটি ভয় ও সংশয় দূর করে আত্মবিশ্বাস জোগায়। বিশেষ করে সিজদাহ হল বান্দার আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হওয়ার মুহূর্ত—এখানে ব্যক্তিগত দোয়া, নিজের দুর্বলতা ও আশার কথা সরাসরি বলার মাধ্যমে এক অনন্য মানসিক শক্তি অর্জিত হয়।

    2. কুরআন তিলাওয়াত ও তা’ব্বুর (গভীর চিন্তা):
      শুধু তেলাওয়াত নয়, কুরআনের বাণী নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা (তাদাব্বুর) করা। এমন আয়াত নিয়মিত পড়া ও উপলব্ধি করা যা আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ:

      • “নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।” (সূরা ইনশিরাহ, আয়াত: ৬) – এই আয়াত স্মরণ করলে যেকোনো সংকট সামলানোর শক্তি আসে।
      • “আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের অতীত ভারার্পণ করেন না…” (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬) – এটা জানা যে আল্লাহ আমার সামর্থ্য জানেন, আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
        গবেষণা (যেমন, Journal of Religion and Health-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র) ইঙ্গিত করে যে ধর্মীয় পাঠ ও ধ্যান (Meditation) মানসিক স্বাস্থ্য ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
    3. শুকরিয়ার নিয়মিত অভ্যাস (Practicing Gratitude):
      ইসলামে শুকরিয়া আদায় শুধু মুখের কথা নয়, তা হৃদয়ের অবস্থা। যা আছে, তা নিয়ে সন্তুষ্টি ও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি শক্ত করে। যে ব্যক্তি সর্বদা অভাব নিয়ে ভাবে, তার মনোবল দুর্বল হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকালে নিরাপদে ঘুম থেকে উঠল, তার শরীর সুস্থ আছে এবং তার কাছে প্রয়োজনীয় রিযিক আছে, সে যেন পুরো দুনিয়া পেয়ে গেছে।” (তিরমিযী)। প্রতিদিন সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত তিনটি জিনিসের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা (যেমন: সুস্থতা, পরিবার, জ্ঞান, একটি সুযোগ) মনকে ইতিবাচক করে এবং নিজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে।

    4. ইলম অর্জন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে উৎসাহ:
      ইসলাম জ্ঞানার্জনকে (Talabul Ilm) ফরজ ঘোষণা করেছে। নতুন কিছু শেখা, দক্ষতা বৃদ্ধি করা সরাসরি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। রাসূল (সা.) বলেছেন, “জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ।” (ইবনে মাজাহ)। নিজের ক্ষেত্রে পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি, নতুন ভাষা শেখা, বা ইসলামিক জ্ঞান অর্জন—যেকোনো ধরনের শেখার প্রক্রিয়া মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে এবং “আমি পারব” এই বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে। এটি শুধু পার্থিব সাফল্য নয়, দ্বীনি দায়িত্ব পালনের জন্যও আত্মবিশ্বাস দেয়।

    5. সালাতুস সালাম ও উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন:
      অন্যের সাথে সুন্দর আচরণ (হুসনুল খুলুক), সালাম বিনিময়, হাসিমুখে কথা বলা, মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা—এগুলো সামাজিক আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। রাসূল (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। যখন আপনি অন্যদের প্রতি ইতিবাচক আচরণ করেন, তাদের কষ্টে সহানুভূতি দেখান, তখন সমাজে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে, যা আপনার নিজের মূল্যবোধ ও আত্মবিশ্বাসকে শক্তিশালী করে। আত্মকেন্দ্রিকতা আত্মবিশ্বাস কমায়, অন্যদিকে পরোপকার ও সুসম্পর্ক তা বাড়ায়।

    নবী-রাসূলদের জীবনী: আত্মবিশ্বাসের অমূলক পাঠ

    ইসলামী ইতিহাসে নবী-রাসূলগণ ছিলেন মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও আল্লাহর উপর অগাধ আস্থা রেখে আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী:

    • মুসা (আ.) এর দৃষ্টান্ত: ফেরাউনের রাজপ্রাসাদে বেড়ে উঠেও যখন তিনি আল্লাহর হুকুমে ফেরাউনের সামনে দাঁড়ালেন তাকে তাওহীদের দাওয়াত দিতে, তখন তাঁর ভয় ছিল (সূরা ত্বহা, আয়াত ২৫-২৮)। তিনি সরাসরি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন, “হে আমার রব! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন…।” আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করলেন। মুসা (আ.) এর এই আত্মস্বীকার (“আমি ভয় পাচ্ছি”) এবং আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, তারপর দৃঢ়ভাবে দাওয়াত দেওয়া—এটি ভয়কে স্বীকার করেও আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা দেয়।

    • মুহাম্মদ (সা.) এর মক্কা বিজয়: মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (সা.) যখন কাবা চত্বরে প্রবেশ করলেন, তখন তাঁর অবস্থান ছিল চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস ও বিনয়ের সমন্বয়। যারা তাকে ও তাঁর সঙ্গীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিল, তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। এই আত্মবিশ্বাস এসেছিল দীর্ঘ সংগ্রাম, অটল ধৈর্য (সবর) এবং আল্লাহর ওয়াদার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস থেকে। হুদাইবিয়ার সন্ধির মতো কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছিলেন, যা তাঁর গভীর আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর পরিকল্পনার উপর ভরসারই প্রমাণ।

    আধুনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামিক আত্মবিশ্বাস: সামাজিক মাধ্যম, প্রতিযোগিতা ও হতাশা

    আজকের যুগে আত্মবিশ্বাসের সবচেয়ে বড় শত্রু হল অন্যের জীবনের ‘হাইলাইট রিল’-এর সাথে নিজের ‘রিয়েল লাইফ’-এর তুলনা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শুধু সাফল্য ও উজ্জ্বল মুহূর্তগুলো শেয়ার করা হয়। এর ফলে অনেক তরুণ-তরুণী নিজেদের অপ্রতুল মনে করে, হতাশায় ভোগে। এখানেই ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন:

    1. রিযিকের ধারণা: ইসলাম শিক্ষা দেয় যে প্রত্যেকের রিযিক (জীবিকা, সাফল্য, সুযোগ) আল্লাহই বণ্টন করেন এবং তা প্রত্যেকের জন্য আলাদা (সূরা যুখরুফ, আয়াত: ৩২)। অন্যের প্রাপ্তি দেখে ঈর্ষা (হাসাদ) না করে, আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন, তার জন্য শুকরিয়া আদায় করাই ঈমানের দাবি। এই উপলব্ধি তুলনামূলক হতাশা দূর করে।

    2. ব্যর্থতাকে ‘ইবতিলা’ (পরীক্ষা) হিসেবে দেখা: ইসলামে ব্যর্থতা বা কষ্টকে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা (ইবতিলা) হিসেবে দেখা হয়, যা ঈমানকে পরিশুদ্ধ করে এবং ধৈর্য (সবর) ও তাওয়াক্কুলের মাধমে অতিক্রম করা যায় (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)। ব্যর্থতাকে নিজের ব্যর্থতা না ভেবে, আল্লাহর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নেওয়া আত্মবিশ্বাসকে ধ্বংস করে না, বরং পুনরুদ্ধারের শক্তি জোগায়।

    3. গিবত ও সমালোচনা থেকে মুক্ত থাকা: অন্যের পেছনে নিন্দা (গিবত) করা ইসলামে নিষিদ্ধ। অন্যের সমালোচনায় ভেঙে না পড়ে, ন্যায়সংগত সমালোচনা গ্রহণ করা এবং অন্যায় সমালোচনা উপেক্ষা করার সাহস ইসলামী আত্মবিশ্বাসের অংশ। রাসূল (সা.)-কেও তো কটূক্তি সহ্য করতে হয়েছে, কিন্তু তিনি তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি।

    বিশ্বাস রাখুন, আল্লাহ আপনাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, তা দিয়ে আপনি যে চ্যালেঞ্জেই পড়ুন না কেন, তাঁর সাহায্য অবশ্যই আসবে। এই বিশ্বাসই হল সেই অদৃশ্য শক্তি, যা ভয়কে সাহসে, সংশয়কে দৃঢ়তায় রূপান্তরিত করে। প্রতিটি নামাজ, প্রতিটি দোয়া, কুরআনের প্রতিটি আয়াতের গভীর উপলব্ধি, এবং নবীদের জীবনচরিতের শিক্ষা—এই সবকিছু মিলেই গড়ে ওঠে সেই অমোঘ আত্মবিশ্বাস, যা শুধু পার্থিব সাফল্যের চাবিকাঠিই নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথকেও সুগম করে। আজ থেকেই শুরু করুন—আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, নিজের প্রতি সুধারণা পোষণ করুন, এবং নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা সেই ঈমানী শক্তিকে জাগ্রত করুন। আপনার যাত্রা হোক সফল, ইহকালীন ও পরকালীন।

    জেনে রাখুন

    1. আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক দোয়া কোনটি?
      রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শেখানো এই দোয়াটি অত্যন্ত শক্তিশালী: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আঝযি ওয়াল কাসলি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল” (হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা, দুঃখ, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা, ভীরুতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের প্রাধান্য থেকে)। (বুখারী)। এই দোয়া মানসিক শক্তি, সাহস ও আত্মবিশ্বাসের জন্য নিয়মিত পড়া উচিত।

    2. ইসলাম কি আত্মবিশ্বাস ও অহংকারের মধ্যে পার্থক্য করে? কিভাবে?
      হ্যাঁ, ইসলাম আত্মবিশ্বাস ও অহংকার (কিবর)-এর মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য করে। আত্মবিশ্বাস হল আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা ও সম্ভাবনার প্রতি বিশ্বাস রেখে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করা। অহংকার হল নিজেকে অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করা, আল্লাহর নেয়ামতকে নিজের কৃতিত্ব দেয়া এবং অন্যদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা। রাসূল (সা.) বলেছেন, “যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম)। আত্মবিশ্বাসে বিনয় ও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকে, অহংকারে থাকে অহমিকা।

    3. ব্যর্থতা বা হতাশায় ভুগলে ইসলামিকভাবে কিভাবে নিজেকে পুনরুদ্ধার করব?

      • সবর ও সালাত: ধৈর্য ধারণ করুন এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন (সূরা বাকারা: ১৫৩)।
      • ইস্তিগফার: ভুল বা ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন (আস্তাগফিরুল্লাহ)। ইস্তিগফার রিযিক ও মানসিক প্রশান্তি বাড়ায়।
      • দোয়া ও যিকির: আল্লাহর কাছে সরাসরি সাহায্য চান। “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই) এর মত যিকির বারবার পড়ুন।
      • সদকা: গোপনে সদকা দিন; এটি বিপদ দূর করে (হাদীস)।
      • ইতিবাচক সঙ্গ: ঈমানদার ও ইতিবাচক মানুষের সাহচর্য নিন।
    4. কুরআনের কোন সূরাগুলো আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বাড়াতে বেশি সহায়ক?

      • সূরা ইয়াসিন: জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য নিয়ে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে, আত্মবিশ্বাস জোগায়।
      • সূরা আর-রহমান: আল্লাহর অগণিত নেয়ামতের বর্ণনা; কৃতজ্ঞতা ও আশাবাদ বাড়ায়।
      • সূরা আল-ওয়াকিয়াহ: রিযিকের নিশ্চয়তা দেয়, উদ্বেগ কমায়।
      • সূরা আল-মুলক: আল্লাহর মহিমা ও ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে দেয়, ভয় দূর করে।
      • সূরা আল-ফাতিহা: সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া; প্রতিটি নামাজে পড়া হয়, যা আল্লাহর সাহায্য কামনা ও তাঁর উপর ভরসার প্রতীক।
    5. সামাজিক ভয় বা স্টেজ ফ্রিক (Stage Fright) কাটাতে ইসলামিক উপায় কী?

      • প্রস্তুতি: ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়া সুন্নত (ইসলামে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার গুরুত্ব রয়েছে)।
      • দোয়া: বের হওয়ার আগে “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ” পড়া (আল্লাহর নামে, আল্লাহর উপর ভরসা করলাম, আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই)।
      • সবর ও তাওয়াক্কুল: বুঝতে হবে ফলাফল আল্লাহর হাতে। আমার দায়িত্ব সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
      • ইতিবাচক স্ব-কথন (Self-Talk): “আল্লাহ আমার সাথে আছেন”, “তিনি আমাকে সাহায্য করবেন” – এভাবে নিজেকে বলুন।
      • ক্ষুদ্র লক্ষ্য: ছোট ছোট সাফল্য দিয়ে শুরু করুন (যেমন, ছোট গ্রুপে কথা বলা)।
    6. আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ইসলামে শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব কতটুকু?
      ইসলামে শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল (সা.) বলেছেন, “শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিনের চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।” (মুসলিম)। সুস্বাস্থ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবোধ (সুন্নত অনুযায়ী পোশাক) আত্মসম্মানবোধ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার (হালাল ও পবিত্র) এবং পর্যাপ্ত ঘুম (ইসলাম রাত জাগতে নিরুৎসাহিত করে) মানসিক ও শারীরিক শক্তি বজায় রাখে, যা আত্মবিশ্বাসের জন্য অপরিহার্য।
    Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.
    ‘ও আত্মবিশ্বাস আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ইসলামিক উপদেশ ইসলাম ইসলামিক উপদেশ:সফলতার চাবিকাঠি জীবন বাড়ানোর
    Related Posts
    ইসলামি ইতিহাসের অজানা ঘটনা

    ইসলামি ইতিহাসের অজানা ঘটনা: অবিশ্বাস্য সত্য!

    August 12, 2025
    নামাজের সময়সূচি ২০২৫

    নামাজের সময়সূচি: ১২ আগস্ট, ২০২৫

    August 11, 2025
    নামাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল:শান্তি লাভের উপায়

    নামাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল:শান্তি লাভের উপায়

    August 11, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ইসলামি ইতিহাসের অজানা ঘটনা

    ইসলামি ইতিহাসের অজানা ঘটনা: অবিশ্বাস্য সত্য!

    ‘ভিসা এক্সিলেন্স ইন ওয়ালেট পার্টনারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ

    Shibaloy

    শিবালয়ে মেয়ের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

    OnePlus Nord CE 5

    OnePlus Nord CE 5 বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    ওয়েব সিরিজ

    মুক্তি পেল নতুন রহস্যময় ওয়েব সিরিজ, না দেখলে চরম মিস!

    Walton

    ওয়ালটন গত অর্থবছরে নতুন ৭টি দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছে

    ওয়েব সিরিজ

    মুক্তি পেল নতুন রহস্যময় ওয়েব সিরিজ, না দেখলে চরম মিস!

    বিবাহিত মেয়েরা

    কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা প্রতিদিন করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা

    Logo

    ৯৩৫ কোটি টাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হবে দুই জাহাজ

    Epic Game

    Epic Games Triumphs Over Apple Again as Elon Musk’s xAI Joins the Legal Battle

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.