জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এ আত্মসমর্পণ করলে বিচারক আবুল কাশেম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আমানউল্লাহ আমান আত্মসমর্পণ করার পর আদালত দুপুরে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন। দুপুর ১টার সময় শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এ নেতা কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবী আমানউল্লাহ আমান অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দানের প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হওয়ায় আমানকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়ারও আবেদন জানান আইনজীবী। আদালত কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত এলাকায় আসেন আমানউল্লাহ আমান। এ সময় কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির কয়েক শ সমর্থক আমানের সঙ্গে আসেন। আমানের আত্মসমর্পণকে ঘিরে তারা মিছিল সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
দেলোয়ার হোসেন নামে প্রত্যক্ষদর্শী এক আইনজীবী জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ইটপাটকেল মেরেছেন। পুলিশও লাঠিপেটা করেছে। তবে অল্প কিছু সময় পরই বিএনপি নেতা–কর্মীদের আদালত এলাকার বাইরে বের করে দেয় পুলিশ।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে সাবেরা আমানকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। গতকাল শনিবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
গত ৩০ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও সাবেরা আমানের ৩ বছর কারাদণ্ড বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সেই আদেশ বিচারিক আদালতে পৌঁছায় ২৭ আগস্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়, বিচারিক আদালতে আদেশ পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। সেই হিসেবে কাল ১১ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের সর্বশেষ সময় রয়েছে। এর আগেই সাবেরা আমান আত্মসমর্পণ করেন। আমানউল্লাহ আমান আজ আত্মসমর্পণ করলেন।
২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালত আমান ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাদণ্ড দেন। ওই সাজার বিরুদ্ধে প্রত্যেকে আপিল করলে হাইকোর্ট দুজনকেই খালাস দেন। দুদক আপিল বিভাগে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট পুনরায় শুনানি গ্রহণ করে গত ৩০ মে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।