জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাইকে একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করতে হবে। সম্প্রতি জাগো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের বর্তমান অবস্থান এবং ছাত্ররাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সেখানে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারছি না। আমরা আশা করি, ২০২৪ সালের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রশিবির বৈষম্যের শিকার হবে না এবং ছাত্রদের পক্ষ হয়ে শুদ্ধ রাজনীতি চর্চার সুযোগ পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের কারণে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে সরব ছিল। আমরা মনে করি, ছাত্ররাজনীতির যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন, যাতে জাতি উপকৃত হতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে।”
ছাত্রশিবিরের ঢাবি কমিটির আত্মপ্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের কমিটি বছরের শুরু থেকেই ছিল। তবে বিগত দুঃশাসনের সময় আমরা চাইনি দায়িত্বশীলরা সবার কাছে পরিচিত হোক। এখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে আমরা আশা করি, সব দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে।”
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ছাত্রশিবির ছাত্ররাজনীতির যৌক্তিক সংস্কার চায়, যাতে জাতি উপকৃত হতে পারে।”
ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম সবসময়ই অব্যাহত ছিল। আমরা মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা হয়তো সেভাবে কাজ করতে পারিনি, তবে আমাদের সংগঠন সবসময়ই সক্রিয় ছিল।”
ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির বা যারা আমাদের ভালোবাসে তারা মাজার বা কোনো প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। কেউ আমাদের মাজার ভাঙার মিথ্যা অপবাদ দিলেও এর কোনো সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির ইসলামকে ধারণ করেই চলে। বিভিন্ন দল আমাদের নিয়ে অপপ্রচার চালায়, তবে যৌক্তিক সমালোচনা আমরা গ্রহণ করি। আমাদের বিষয়ে যদি কোনো অপপ্রচার হয়, সে বিষয়ে আমরা সচেতন থাকি।”
উল্লেখ্য, এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে জাগো নিউজের ওয়েবসাইটে।
(সুত্র: জাগো নিউজ)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।