প্রতিদিন পৃথিবীর আকাশে একটা আগুনের গোলা পুব থেকে পশ্চিমে চলে যায়। এ আমাদের অতিচেনা দৃশ্য। এ অগ্নিগোলাটাই আমাদের চেনা নক্ষত্র, আমাদের সৌরজগতের অধিপতি—সূর্য। সেই প্রাগৈতিকহাসিক কাল থেকে, এমনকি পৃথিবীতে দুপেয়ে মানবজাতি আসার আগে থেকেই ঘটে চলছে এই একঘেয়ে ঘটনা।
প্রাচীন মানুষদের কাছে এ দৃশ্যটা ছিল অতি উদ্ভট আর চমকপ্রদ। তাই তারা সেই অগ্নিগোলক বা সূর্যকে দেবতা ভাবতে শুরু করেছিল। সেই রহস্যময়, শক্তিশালী দেবতার জন্য পূজা-অর্চনারও কমতি ছিল না। এর রেশ এখনো রয়ে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন জাতিতে।
এখন অবশ্য আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে সূর্যের রহস্যের জট অনেকটাই খুলে গেছে। আধুনিক মানুষের কাছে সে দেবতার গরিমা হারিয়েছে অনেক আগেই। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, মহাবিশ্বের কোটি কোটি নক্ষত্রের মধ্যে সূর্য স্রেফ একটা মাঝারি মানের নক্ষত্র।
অবশ্য তাতে পৃথিবীতে প্রাণের টিকে থাকার জন্য কিংবা শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের অপরিহার্যতা খাটো করা হয় না। বরং তার রহস্যের জটাজালগুলো খোলার কারণেই পৃথিবীতে সূর্যের ভূমিকাটা সঠিকভাবে বোঝা যায়। এককথায়, পৃথিবীর প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ, আবহাওয়া, আমাদের জীবন, স্বাস্থ্য, আবেগ সবকিছুতেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব রাখছে এই অগ্নিগোলক।
সূর্য অতি উজ্জ্বল। সারাক্ষণ জ্বলছে গনগন করে। সূর্য থেকে প্রতি মুর্হূতে বেরিয়ে আসছে বিপুল পরিমাণ শক্তি। আর এ শক্তির উৎস, ফিউশন বিক্রিয়া। তাতে তৈরি হচ্ছে বিপুল তাপ, শক্তি ও আলো। সূর্যে উৎপন্ন এসব আলো বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এর মধ্যে ক্ষতিকর কিছু রশ্মি আটকে যায় পৃথিবীর ওজোন স্তরেই। তবে পরিবেশ দূষণ তথা জলবায়ু পরিবর্তনের কুফলে ওজন স্তর ফুটো হয়ে কিছু ক্ষতিকর রশ্মি নেমে আসে ভূপৃষ্ঠে।
এর মধ্যে রয়েছে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি বা অতিবেগুনি রশ্মি। আমাদের ত্বক অতিমাত্রায় এ রশ্মির সংস্পর্শে থাকলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যালোকে আরও আছে অবলোহিত বা অবলাল রশ্মি। ইংরেজিতে একে বলে ইনফ্রারেড। সূর্যের এই আলোর জন্যই আমরা ত্বকে উষ্ণতা অনুভব করি। শীতের রোদ পোহাতে এ কারণেই মজা। অবশ্য যতই আরাম লাগুক, শীতের রোদে ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেটও থাকে।
এর উত্তরে বেশিরভাগ মানুষই হয়তো ভুল উত্তর দেবেন। কেউ বলবেন, হলুদ। কেউ বলবেন, লাল। কিন্তু সূর্যের রং হলদে বা লালচে কোনোটাই নয়, বরং সাদা বলা যায়। অবশ্য সেটাও নির্ভর করে রঙের ব্যাখ্যার ওপর। অর্থাৎ আমাদের চোখ রং কীভাবে দেখছে তার ওপর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।