
তবে কথোপকথনটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করছেন মাওলানা মাহফুজুল হক। এই কথোপকথন প্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে ইথিকাল হ্যাকিং নামে একটি পেজে অডিওটি প্রকাশ করা হয়। অডিও’র ওই পোস্টে মাহফুজুল হক ও শফিকুর রহমানের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
কথোপকথনের বিষয়ে মাহফুজুল হক বলেন, তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। পরিচয়ও নেই। কোনো দিন ফোনে কথা বলেছেন বলেও মনে করতে পারেন না।
ঢাকায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা একজন কর্মকর্তা বলেন, তারা কথোপকথন শুনেছেন। ‘বানানো’ বলে মনে হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের নির্দেশ পেলে খতিয়ে দেখবেন।
মাহফুজুল হক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অডিও ক্লিপ যারা প্রচার করেছে, তাদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, নইলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও বলেন, সেদিনের জনসমাগম অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনে করছে, ইথিকাল হ্যাকিং নামে যে গ্রুপটি ফেসবুকে কথোপকথনের লিঙ্ক প্রকাশ করেছে তারা ঠিকমতো খোঁজখবর না নিয়েই এমন একটি ভুয়া অডিও রেকর্ড তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মিত্র। সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল। অন্যদিকে যে কথোপকথন প্রচার করা হয়েছে, সেটি ইঙ্গিত দেয় জনসমাগম ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং এতে জামায়াতের ইন্ধন আছে। বিএনপিও অবহিত ছিল।
অডিও রেকর্ডে যা আছে
কথোপকথনে মাওলানা মাহফুজুল হক হিসেবে যাকে উপস্থাপন করা হয়েছে তাকে বলতে শোনা যায়, যোবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজা সম্পর্কে সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে, ভালো মানুষের জমায়েত হবে। তবে পথে প্রচুর পুলিশ।
অন্যদিকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান হিসেবে যাকে উপস্থাপন করা হয়েছে তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘লকডাউন’ কে পাত্তা দেওয়া যাবে না। প্রচুর লোকের সমাগম ঘটাতে হবে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হবে। প্রচুর লোকজন হলে পুলিশ কিছু করতে পারবে না। কারণ ফাঁড়িতে যথেষ্ট পুলিশ থাকে না। ফজলুল হক আমিনীর বড় ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারাও লোক পাঠাবেন, জামায়াতের লোকও থাকবে। এ সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অবহিত আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



