জুমবাংলা ডেস্ক : ১৪২৬ বঙ্গাব্দের শেষ দিন আজ। বাংলার রীতি অনুসারে বর্ষ বিদায়ের বিশেষ দিন চৈত্রসংক্রান্তি।
কবি জীবনানন্দের ভাষায়- ‘পুরনো সে-নক্ষত্রের দিন শেষ হয়/নতুনেরা আসিতেছে ব’লে…।’
আসছে নতুন বছর ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বর্ষবরণের দিন পহেলা বৈশাখ। এ কারণেই জীর্ণ পুরাতনকে বিদায় আর নতুনকে বরণের প্রস্তুতিতে চৈত্রসংক্রান্তিতে মুখর থাকার কথা বাংলাদেশ ও পাশের দেশ ভারতের বাঙালি অধ্যুষিত জনপদগুলো। কিন্তু মরণব্যাধি কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাগম এড়ানোর জন্য বর্ষ বিদায় ও নববর্ষ বরণের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
বাংলা সনের সমাপনী মাস চৈত্রের শেষ দিনটি সনাতন বাঙালির লৌকিক আচারের চৈত্রসংক্রান্তি।
কথিত আছে চৈত্রসংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্রসংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।
কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে পহেলা বৈশাখসহ সব ধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
সারাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে এই ছুটি। এই অবস্থায় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে কোনও আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না এবার।
তবুও মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। যে স্বপ্ন, কোভিড-১৯ মুক্ত নতুন বিশ্ব– নতুন বালাদেশ।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙালি কোভিড মহামারি থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়েই সোমবার (১৩ এপ্রিল) পুরনো বছরকে বিদায় আর পরের দিন নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তেমন কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।