আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন, ঘোষণাটি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি খেলেই বিদায় নেওয়ার ঘোষণা অনুযায়ী আজ ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন এই ক্যারিবীয় তারকা।
মাঠে নামার সময় রাসেলকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। কিন্তু রাসেলের বিদায়ী ম্যাচের অভিজ্ঞতাটা ভালো হয়নি। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোনো পাত্তাই দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা।
আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৮ উইকেটে ১৭২ রানের জবাবে দিতে ২৮ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
কিংস্টনের সাবিনা পার্কে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় উইকেটে ১৩১ রানের জুটি গড়েন জস ইংলিস ও ক্যামেরন গ্রিন। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে এটি অসিদের সবচেয়ে বড় জুটি। এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ১১৮ রান করেছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রেকর্ড এই জুটিতেই ডোবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৩৭ বছর বয়সী এই জ্যামাইকান অলরাউন্ডার তার বিদায়ী ইনিংসেও দেখালেন নিজস্ব স্টাইল। মাত্র ১৫ বলে ৩৬ রান করলেন তিনি। চারটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকিয়ে তার স্ট্রাইক রেট দাঁড়ায় ২৪০। রাসেলের এমন ইনিংসে ভর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১৭২ রান, যদিও ৮ উইকেট হারাতে হয় তাদের।
তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়েও আলোচনায় ছিল রাসেলের বিদায়। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটিই তার শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ।
ম্যাচ শুরুর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। মাঠে সবাই জানত, আজকের ম্যাচেই শেষবারের মতো ক্যারিবিয়ান জার্সিতে দেখা যাবে রাসেলকে।
বিদায়বার্তায় রাসেল বলেন, ‘কী বলব, বুঝতে পারছি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলাটা ছিল আমার জীবনের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত। আমি চেয়েছিলাম মেরুন জার্সিতে নিজের ছাপ রেখে যেতে। যেন আমি অন্যদের অনুপ্রেরণা হতে পারি। আমি ঘরের মাঠে, পরিবারের সামনে খেলতে ভালোবাসি… আমি চেয়েছিলাম আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা যেন উচ্চতায় শেষ করতে পারি, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রোল মডেল হতে পারি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাসেল খেলেছেন ১৪৩টি ম্যাচ। এর মধ্যে রয়েছে ৮৬টি টি–টোয়েন্টি, ৫৬টি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট ম্যাচ। ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
https://inews.zoombangla.com/ajke-amra-darun-bowling-korechi-liton/
ম্যাচ শেষে যখন রাসেল মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সতীর্থরা দুই পাশে লাইন করে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান তাকে। এমন সম্মানজনক বিদায় পেয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই তারকা, যিনি পুরো এক যুগ ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার ব্যাটে-বলে, সাহস আর চরিত্রে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।