জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া অবৈধ অ’স্ত্র ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক মা’দক চোরাচালান চক্রের সক্রির সদস্য। তিনি ‘ভূঁইয়া গ্রুপ অব কোম্পানিজ’ প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বিদেশ থেকে সিসা, বিয়ারজাতীয় মা’দক আনতেন। এছাড়া কক্সবাজার থেকে ই’য়াবা ট্যাবলেট এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ক্লাবে সরবরাহ করতেন।
গত শুক্রবার মতিঝিল থানায় দায়ের করা মা’দক মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম আকন্দ। আবেদনে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। আদালত আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে হাজতি পরোয়ানা ইস্যু করেন। ওইদিন তার উপস্থিতিতে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে গুলশান থানায় অস্ত্র ও মা’দকের পৃথক দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয় আলোচিত এ যুবলীগ নেতা খালেদকে। পরে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। অস্ত্র মামলায় চারদিন ও মা’দক মামলায় তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম আকন্দ আবেদনে উল্লেখ করেন, ‘মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান থানার অ’স্ত্র মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে মতিঝিল থানার ৩১ (৯) ১৯ মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদনপূর্বক জানাইতেছি যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় র্যাবের বিশেষ অভিযানে তার গুলশান বাসা তল্লাশি করে অস্ত্র, মা’দক ও বিপুল পরিমাণ দেশি/বিদেশি অ’স্ত্রসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তিনি জানান যে, মতিঝিলের ইস্টার্ন কমলাপুর কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলার ৪০২ নম্বর রুমে ভূঁইয়া গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই ফ্ল্যাটে ব্যবসার আড়ালে মা’দক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করা হতো। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাক্ষীদের সম্মুখে তার অফিসের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি চালান। তল্লাশিকালে তার অফিস থেকে ১৯০ পিস হালকা গোলাপি রঙের ই’য়াবা, দেশি ও বিদেশি বিয়ার, সিসা, গাঁ’জা উদ্ধার করা হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।