বিনোদন ডেস্ক: ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য এবং ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত ১৫ মে মারা গেছেন। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। কিংবদন্তি এ নায়কের মৃত্যুতে শোকাহত ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি।
নায়ক ফারুকের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার (১৬ মে) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। দেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ নেয়া হয় বিএফডিসিতে। সেখান থেকে গুলশানের আজাদ মসজিদে নেয়া হয় মরদেহ। এরপর গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় অভিনেতাকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এ অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি, রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন তারকা এবং ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরাসহ অনেকে নামাজে জানাজায় অংশ নিয়েছেন। তবে নামাজে জানাজায় দেখা মিলেনি অভিনেতা নানা শাহ’র। এ অভিনেতা সম্পর্কে চিত্রনায়ক ফারুকের ভাগ্নে।
নামাজে জানাজায় কেন অংশ নেননি, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন নানা শাহ। আপন মামার মৃত্যুতে প্রথমেই শোক প্রকাশ করে নানা শাহ বলেন, আমি কী বলব নিজেও জানি না। আমার বড় ছেলে আকবর আলম শশী মারা যাওয়ার পর থেকে কোনো লাশ দেখতে পারি না। আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে সেখানে যাই না।
তিনি বলেন, আমার বড় ছেলের নাম ছিল আকবর আলম শশী। এই ছেলের নাম রেখেছিলাম ফারুক মামার সঙ্গে মিলিয়ে। কারণ তার সঙ্গে সম্পর্ক আমার অসম্ভব ভালো ছিল। মাঝে অনেক কিছুই হয়। একসঙ্গে থাকলে, একই পরিবারের হলে অনেক রকমের ঝামেলা হয়। হয়তো আমাদেরও হয়েছে। সেসব আবার ঠিকও হয়ে গেছে। আজ তিনি মারা গেছেন। আমার আর বলার কিছুই নাই। শুধু এটাই বলব, সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
এর আগে নানা শাহ জানান, নায়ক ফারুকের কোলে-পিঠে মানুষ হয়েছেন তিনি। বয়সে ১৫/১৬ বছরের বড় ফারুক। অনেক বছর একসঙ্গেও ছিলেন। ফারুক যখন লাঠিয়াল সিনেমা করেন, তখন অভিনেতা নানা শাহদের বাসায় ছিলেন। এরপরে নানা শাহদের বাসা থেকে দিলু রোডের বাসায় চলে যান বলে জানান নানা শাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।