জুমবাংলা ডেস্ক : আপনাকে পেটাতে পেটাতে ভিপি বানিয়ে দিয়েছে আর আবরারকে পি’টিয়ে মে’রেই ফেলল এ কেমন ছাত্রলীগ? এটা কেমন ছাত্র সংগঠন? নব্বইয়ের পরে কি ছাত্র সংগঠন গুলোর মুখ উজ্জ্বল করার আর কোন ভূমিকা নাই। যে ছাত্রলীগ বাংলাদেশের গৌরব, ঐতিহ্য, সেই ছাত্রলীগ কেন হবে সন্ত্রাসী লীগ, কেন মানুষ এই অভিযোগ তুলবে?
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের টু দি পয়েন্ট অনুষ্ঠানে, উপস্থাপক সোমা ইসলাম ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে এমন প্রশ্ন করেন। এ প্রশ্নের জাবাবে ভিপি নূর বলেন, আপনি যে কথাটি বলছিলেন হয়তো স্বাভাবিকভাবে কিন্তু আমার গায়ের পশম দাঁড়িয়ে গেছে। আপনি যেটা বলছেন যে, পি’টিয়ে পি’টিয়ে ভিপি বানিয়েছে। আরবার হয়তো ম’রে গেছে, আমার হয়তো ভাগ্য ভালো আমি সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম। কারণ আমার উপর একবার নয় এ পর্যন্ত আট বার হামলা হয়েছে। ডাকসুর ভিপি হওয়ার পরেও পাঁচবার এবং ৩০ জুন গতবছরে যে হামলা হয়েছিল সেদিন আমি একা ছিলাম। সেখানে লাইব্রেরীর সামনে সমস্ত মিডিয়ার উপস্থিতিতে প্রকাশ্যভাবে আমার উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করেছিল। তার কোন বিচার হয়নি কিন্তু বিচার হয়নি কেন? কেন আবরার মা’রা গেছে? আপনি যদি দেখেন তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এই কাণ্ড।
আওয়ামী লীগ না হলে দেশে মানুষের অধিকার থাকবে না কিংবা মানুষের যে মৌলিক অধিকার মানবাধিকার সেটা মানুষ আশা করতে পারে না। ঠিক একইভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যদি ছাত্রলীগ না করে কিংবা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরকে এভাবে আবরারের মত কিংবা তার চেয়ে ভিন্নভাবে তাদেরকে খেসারত দিতে হয় সেটা আমি ডাকসুর ভিপি দিয়েছি এবং অন্যান্য ছাত্রসহ অনেকেই দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০ সালের কথা ধরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আবু বক্কর সে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের মেধাবী ছাত্র রাজিব যিনি ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাকে মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই হলো ছাত্রলীগের অবস্থা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।