লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনার কি প্রচণ্ড রাগ হয়? রাস্তাঘাটে বা টিকিটের লাইনে একটুও অনিয়ম সহ্য় করতে পারেন না? সম্পর্কগুলো প্রথমে সাংঘাতিক ভাল থাকে, আর তার কিছুদিনের মধ্যেই একেবারে মুখ দেখাদেখি বন্ধ?
হতে পারে, আপনি বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন৷ মনোরোগের মধ্যে পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ নানারকম পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার আছে. যার মধ্যে বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার অন্যতম ও গুরতর৷
আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই রোগের লক্ষণগুলো কী কী৷
১- ইনঅ্যাপ্রোপিয়েট অ্যাঙ্গার হল এর অন্যতম লক্ষণ৷ রাগ আমাদের প্রত্যেকেরই হয়৷ কিন্তু যে-ঘটনায় যতটুকু রাগার কথা, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রেগে গিয়ে যদি তুলকালাম কাণ্ড করে বসেন আপনি, তাহলে কিন্তু সেই রাগকে কিন্তু যথাযথ বলা যাবে না৷ তা অবশ্যই ইনঅ্যাপ্রোপিয়েট৷
২- কোনও অন্যায় বা অনৈতিক কাজ একেবারেই সহ্য় করতে না-পারা৷ যেমন ধরুন, আপনি টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ আপনার সামনে অনেকেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ আচমকাই দেখা গেল একজন লোক সবাইকে টপকে কাউন্টারের কাছে গিয়ে টিকিট চাইল৷ অন্যরাও এতে অল্পবিস্তর রিয়্যাক্ট করবে৷ কিন্তু আপনি এতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন৷ কেন লোকটা এমন অন্যায় কাজ করল বা করতে সাহস পেল, তাই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন ওই কাউন্টারের সামনেই৷
৩- সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেওয়া৷ এই এখন যাদের সঙ্গে আপনার হলায়-গলায়, যাদের প্রশংসায় আপনি অহরাত্র উচ্ছ্বসিত, দু-দিন বাদেই দেখা গেল, তাদের নাম শুনলেই আপনি রেগে উঠছেন৷ সম্পর্ক রাখা তো দূরের কথা৷ এই যে একটা এক্সট্রিম ব্যাপার, এটাও কিন্তু এই রোগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য৷
৪- প্রত্যাখান বা অপমান নিতে না-পারা৷ একথা ঠিকই যে, অপমান সহ্য় করা কারোর পক্ষেই সহজ নয়৷ কিন্তু সামান্য অপমানেও ভয়ানক বিচলিত হয়ে পড়া কিন্তু এই রোগের লক্ষণ৷ আবার ধরুন, কেউ কোনও বিষয়ে সঙ্গত কারণেই আপনার প্রস্তাবে রাজি হল না, আপনাকে প্রস্তাব প্রত্যাখান করল , ব্যাস, সেই নিয়ে কয়েক রাত ঠিকমতো ঘুমোতেই পারলেন না৷
বলে রাখা ভাল, বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের ভুগতে থাকা মানুষদের সাধারণত বাইপোলার ডিপ্রেশন দেখা যায়৷ তাঁদের মনের পরতে-পরতে অনেক বিষণ্ণতা লুকিয়ে থাকে৷ প্রতিমুহূর্তে মনে হয়, সমাজটা একদম ঠিকভাবে চলছে না৷ এতকিছু দেখেও কেন কেউ কিছু বলছে না৷
সাইকোথেরাপির মধ্যে দিয়ে এই রোগের মোকাবিলা করা সম্ভব৷ সঙ্গে, প্রয়োজন হলে কিছু ওষুধপত্রও খেতে হতে পারে সাময়িকভাবে৷ আপনার নিজের বা প্রিয়জনের মধ্যেল যদি এই লক্ষণগুলো দেখেন, তাহলে অবশ্যই একজন মনোবিদের পরামর্শ নেবেন৷ নইলে আপনার সামাজিক জীবন ও সম্পর্ক নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।