জুমবাংলা ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে আসামিরা আইনজীবীদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোক সংক্রান্ত আদেশটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল ও শাহ পরান তুষার।
আসামি পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের এ আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি।
এর আগে গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর আগে নাইমুল আবরার নিহত হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামি জামিন নেন।
মামলার আসামিরা হলেন−মতিউর রহমান, আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহ পরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নাইমুল আবরার রাহাতের বাবা মুজিবুর রহমান।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় নাইমুল আবরার। এ ঘটনায় শুরু থেকেই আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।