জুমবাংলা ডেস্ক: ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন ঘাতকদের আঘাতে নির্মমভাবে নি’হত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও মিছিল করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনার চত্বরে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার চত্বর থেকে মৌন মোমবাতি মিছিল নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় ফিরে আসেন।
ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা চাই, শিগগিরই দাবি মেনে নিয়ে ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
এ সময় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদর দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের শনাক্ত করে সবার ছাত্রত্ব আজীবন বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, মামলা চলাকালে সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে, দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে, অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ অক্টোবর,২০১৯ তারিখ বিকাল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে, পূর্বে ঘটা এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ ও পরবর্তীতে ঘটা যেকোনো ঘটনা প্রকাশের জন্য একটা কমন প্লাটফর্ম বা সাইট থাকতে হবে এবং নিয়মিত প্রকাশিত ঘটনা রিভিউ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
গত রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতারা। এরপর থেকে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের সকল ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ মোট ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর সাংগঠনিক তদন্তের ভিত্তিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বুয়েট শাখার ১১ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।