জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রেফতার মেহেদী হাসান রাসেল ও মুহতাসিম ফুয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদকারী এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত সোমবার গভীর রাতে এ দুজন জিজ্ঞাসাবাদে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে ভয়াবহ নির্যাতনের কথা স্বীকার করে। তারা এখন বলছে, আবরারকে মেরে নিজেদের জীবনও শেষ।’
সে রাতে যা ঘটেছিল : প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবরারকে ধরে নিয়ে পেটানোর সময় একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে যান। তার পরও নির্যাতন থামেনি। আবরার নড়াচড়া বন্ধ করে দিলে ছাত্রলীগের নেতারা হলের অন্য ছাত্রদের ডেকে আবরারের নিথর দেহটি দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখেন। এরপর রাতে ছাত্রলীগ নেতারা যখন রাতের খাবার খেতে বাইরে যান তখন তাঁরা নিশ্চিত হন আবরার আর বেঁচে নেই। পরে আবরারের লাশ সিঁড়ি থেকে নিয়ে রাখা হয় হলের ক্যান্টিনে। এরপর ভোরের দিকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তভার ডিবিতে : আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হ’ত্যার ঘটনায় চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দাতে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বিকালে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছিলেন চকবাজার থানার ওসি সোহরাব হোসেন।
হ’ত্যার নেপথ্য কারণ : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে আবরার কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন। এতেই তাঁকে ভিন্নমতাদর্শী রাজনৈতিক দলের কর্মী ভেবে পিটিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। তবে এটিই হ’ত্যাকাণ্ডের মূল কারণ কি-না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।