জুমবাংলা ডেস্ক : নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে গরুর মাংস খাওয়া এক প্রকার বিলাসীতা হয়ে উঠেছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়ে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬২০-৬৫০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯৫০ টাকায়, দাম কমে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৬৫-১৭৫ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫৫০ টাকায়।
কয়েকটি মাছের দাম কেজিতে ২০ টাকা পযর্ন্ত কমেছে। বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৪৩০ টাকা কেজি, একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতলা মাছ। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, চাষের শিং ৩০০ টাকা, দেশি শিং ৬০০-৭০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা ও দেশি ৫০০ টাকা, দেশি শোল ৫০০-৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা কেজি। ট্যাংরা ৪০০-৭০০ টাকা, আইড় আকারভেদে ৪০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, গাঁজর ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা কেজি, শাকের আঁটি ৮ থেকে ১০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস, মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। করলার দাম কমে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ক্ষীরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি দর বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কেজিতে ১০ টাকা পযর্ন্ত কমে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪৫ টাকা। দুই টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২২ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৮-২০ টাকা। দেশি রসুন ৯০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১২০-১৩০ টাকা, দেশি আদা ৮০ টাকা ও আমদানি করা আদা ১৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রীর সতর্কতার পরও কমেনি চালের দাম। প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা, বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৭-৫০ টাকা, পারিজা ৪৪-৪৬ টাকায়। প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৮ টাকা কেজি, খোলা ৪০-৪৫ টাকা। প্যাকেট ময়দা ৪৬-৫০ টাকা এবং খোলা ময়দা ৫৫-৫৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫৩ টাকা লিটার, বোতলজাত প্রতি লিটার ১৬০-১৬৫ টাকা, খোলা পামওয়েল তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩১-১৩৮ টাকায় এবং পামওয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৪ টাকায়।
বাজারে মোটা মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়, মাঝারি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। মুগ ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকায়, এ্যাংকর ডাল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং ছোলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।