আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুলিশের অনুমতি নিয়ে আবারও কোরআন পোড়ানো হলো সুইডেনে। এবার এই কথিত প্রতিবাদটির আয়োজন করেছেন বাহরামি মারজান নামের এক নারী। তিনি একসময় ইসলাম ধর্মে থাকলেও, ধর্ম পরিবর্তন করে তিনি খ্রিষ্টান হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে কাছেই তিনি প্রকাশ্যে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে আগুন দেন। এ খবর দিয়েছে আরটি।
খবরে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায়ই কোরআন পোড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে আসছেন। মুসলিম দেশগুলোর তরফেও এর প্রতিবাদে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও থামছে না এ ধরণের কর্মকাণ্ড। বাক-স্বাধীনতার কথা তুলে সুইডেনও এতে অনুমোদন দিয়ে চলেছে।
বৃহস্পতিবার কোরআন পোড়ানো বাহরামি মারজান ইরানের নাগরিক ছিলেন। তিনি তার দেশ ছেড়ে এসে নিজের ধর্মও বদলে ফেলেছেন।
তিনি কোরআন পোড়ানোর আগে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ২০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরেকটি ছোট গ্রুপ এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে এলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়।
মারজান রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন, ধর্ম রাজনীতিরই একটি অংশ। তিনি বিশ্বাস করেন না যে, তার এমন কর্মকাণ্ডের জন্য সুইডেনের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। এর আগে সুইডেনের ইরাক ও তুরস্ক দূতাবাসের বাইরে একাধিকবার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে কথিত প্রতিবাদ জানান বেশ কিছু মানুষ। ইরাক এমন অবমাননার জবাবে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত পাঠায় এবং নিজের রাষ্ট্রদূতকে সুইডেন থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসে। এছাড়া তুরস্ক, মিশর, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডান সুইডেনের এমন নির্লিপ্ত ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাধিকবার ঘোষণা করেছেন যে, রাশিয়ার মাটিতে কোরআন পোড়ানোর মতো ঘটনা মেনে নেয়া হবে না। রাশিয়ার একদল এমপি সম্প্রতি এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে ইউরোপে কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানান। তারা বলেন, বাক-স্বাধীনতার সঙ্গে এ ধরণের আচরণের কোনো সম্পর্ক নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।