আমাদের সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করার জন্য দরপত্র আহবান করেছিল পেট্রো বাংলা। কিন্তু সেখানে কোন বিদেশি প্রতিষ্ঠান সাড়া দেয়নি। সময় বাড়িয়ে দিয়ে কোন লাভ হয়নি পেট্রোবাংলার। কেন কোন বিদেশী প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিল না তার কারণ পর্যালোচনা করে দেখছে পেট্রোবাংলা। এ অথরিটি জানিয়েছে যে, তারা পুনরায় দরপত্র আহবান করতে আগ্রহী।
সম্ভবত উৎপাদন-অংশীদারী চুক্তিতে যে ধারা রয়েছে সেখানে বিদেশি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখায়নি। এ ধারা সংশোধন করার চিন্তা ভাবনা করছে এ সংস্থাটি। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতেছে। এ কারণে অভিনয় পাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিদেশী সংস্থাকে খুব বেশি আর্থিক সুবিধা দেওয়াটা উচিত হবে না।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তি চূড়ান্ত হয়। আগের চেয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের গ্যাসের হিস্যা বাড়ে, বাড়ে দামও। দেওয়া হয় নানা রকম কর সুবিধা। গত বছর ৫৭ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে আহ্বান করা হয়। সেসময় ৭ কোম্পানি জরিপের তথ্য-উপাত্তসহ দরপত্রের নথি কিনলেও জমা দেয়নি কেউ। পরে গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ মাস সময় বাড়িয়েও সাড়া মেলেনি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মোঃ রেজানুর রহমান বলেন, ‘টেন্ডার আর তাদের কাছে আমরা মতামত চাইলাম, কেন ড্রপ করলেন না। রিলেটেড বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের কাছেও আমরা মতামত চাইলাম। দেশের স্বার্থটা আমাদের এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে ঠিক রেখে যতটুকু রিভিউ করা যায়। করে আমরা খুব দ্রুততম সময়ে আবার টেন্ডারে যাচ্ছি।’
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ব্লকের তথ্য-উপাত্তের দাম বেশি রাখা, ব্লক থেকে স্টেশন পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের খরচ অন্তর্ভুক্ত না রাখা, ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন ফান্ড অন্তর্ভুক্ত রাখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। বিদ্যমান পিএসসি যথেষ্ট আকর্ষণীয়, তাই আর্থিক কোনো সুবিধা বাড়ানোর বিপক্ষে বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, ‘অনেক রকম আমলাতান্ত্রিক জিনিসপত্র আছে। সেগুলোকে সুযোগ সুবিধা দিতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, আর্থিক দিকটা একটু চিন্তা ভাবনা করে তাদের বিবেচনা করা উচিত। সুযোগ সুবিধা বাড়ানোটা ঠিক হবে না। আমি যেটা বুঝতে পারছি, তারা যদি আবার রি-টেন্ডার করে আমার মনে হয় পলিটিক্যাল সিচ্যুয়েশন ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তারা হয়ত বিড করবে না।’
এর আগে, ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১২ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। যদিও পেট্রোবাংলার সাথে দামের মতবিরোধে দেশ ছাড়ে তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।