রাজশাহী প্রতিনিধি : প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘরের মেঝেতে শুয়েছিলেন আতিকুর রহমান ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। আর তাদের ছয় বছরের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান শুয়েছিল খাটের ওপরে। গভীর রাতে ছেলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় বাবা-মা’র। রক্তাক্ত সন্তানকে দেখে তারা হতভম্ব হয়ে যান। পরে রাতেই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রপচার শেষে চিকিৎসক জানান শিশুটি শঙ্কামুক্ত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকার সূর্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিশুটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। শিশুটির মা ফিরোজা বেগম এসব কথা জানান।
তিনি জানান, রাতে শোয়ার ঘরের দরজা খোলা ছিল। শিশু মিজান শুয়েছিল জানালার পাশেই। ঘরে প্রবেশ করে অথবা জানালা দিয়ে কেউ তার গলাকাটার চেষ্টা চালায়। তবে কাউকে ঘরের ভেতর থেকে পালাতে দেখেননি। এই ঘটনার কারণ এবং কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাও নিশ্চিত নন তারা।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। শোয়ার ঘরে ড্রেসিং টেবিলের ওপর ভাঙা কাঁচ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এই কাঁচ ভেঙে শিশুটির গলায় পড়েছিল। অন্য কারণও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে ছেলের গলা থেকে রক্তক্ষরণ দেখে আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের কাঁচ ভেঙে গেছে বলে দাবি করেছেন শিশুটির মা ফিরোজা বেগম। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ছয় থেকে সাত বছর বয়সী এক শিশুর কাটা মাথা ব্যাগে ভরে ঘোরাফেরা করার সময় নেত্রকোনা শহরের নিউ টাউন এলাকায় এক যুবককে পিটিয়ে হ*ত্যা করে স্থানীয়রা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।