আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ দুজন হলেন—রংপুর পুলিশ লাইনের এএসআই আমির হোসেন ও তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

শনিবার দুপুরে ওই দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।

দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তারা ‘অপেশাদারি আচরণস্বরূপ’ শটগান থেকে ফায়ার করেন। আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৮ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পহেলা আগস্টে আংশিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

গত ষোলই জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ১৭ জুলাই মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।

যদিও আবু সাঈদের মামলায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ। এই কিশোর রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির (বিজ্ঞান বিভাগ) ছাত্র।

ওই কিশোরকে উনিশে জুলাই আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট আমলি আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলো।

পরে পহেলা অগাস্ট আদালত তাকে জামিন দেয়।

বিতর্কে নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী : ওবায়দুল কাদের