উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন ‘বেঁচে আছেন’ এবং ‘ভালো আছেন’ বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিমের অসুস্থতা এবং মৃত্যু সংক্রান্ত খবর চাউর হওয়ার পর দেশটির একজন কর্মকর্তা ফক্স নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের বিদেশ নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা চুং-ইন মুন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত কিম জং-উন বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন।’
‘তিনি ১৩ এপ্রিল থেকে ওনসান এলাকায় অবস্থান করছেন। সন্দেহজনক কোনো আচরণ এখনো বোঝা যায়নি।’
তিনি জানান, কিমের হলিডে রিসোর্টের কাছে একটি ব্যক্তিগত রেলস্টেশন আছে। সেখানে তার ট্রেন দেখা গেছে।
‘কিম ট্রেনেই চলাফেরা করেন। কিন্তু এই ট্রেন মানেই তার অবস্থান নিশ্চিত নয়। তবে এই এলাকায়ই তিনি আছেন।’
কিমকে নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয় গত ১৫ এপ্রিল। তার দাদা ও দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি। তার এ অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ ত্যাগকারীদের মিডিয়া অনলাইন ডেইলি এনকে’র খবরে বলা হয়, হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের পর নর্থ পিয়ংগাও প্রদেশে কিমের চিকিৎসা চলছে।
উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে এমন ‘স্পর্শকাতর’ খবর আসলে দেশটির কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) অধিকাংশ সময় তার ব্যাখ্যা বা প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু ওই খবর অসার পর গত বুধবার তাদের প্রধান শিরোনাম ছিল খেলাধুলার সরঞ্জাম নিয়ে।
এরপর হংকংয়ের একটি টেলিভিশনে তার মৃত্যুর খবর আসে। একই সঙ্গে রয়টার্স জানায়, কিমের চিকিৎসার জন্য চীন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া পৃথিবী থেকে রীতিমতো ‘বিচ্ছিন্ন’ একটি দেশ। তারা নিজেদের মতো করে রাষ্ট্রীয় কাজ চালায়। সেদেশের শীর্ষ কর্মকর্তার স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো খবর মিডিয়ায় আসে না বললেই চলে।
৩৬ বছর বয়সী কিম এমনিতে প্রচুর ধূমপান করেন। তার পরিবারের হার্টের সমস্যার ইতিহাস আছে।
তার আবার এমন উধাও হয়ে যাওয়ারও ইতিহাস আছে। এর আগে ২০১৪ সালে প্রায় এক মাস কোনো খবর ছিল না। হঠাৎ একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সৈকতে হাঁটছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



