জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। সব সংঘাতের অবসান হোক এই কামনা করি।
বুধবার (১৫ মে) সকালে ‘আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের নারী-শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত তারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা নিবে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল গঠন করেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপরেই দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আসে এবং সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু হয়। বিশেষ করে মা ও শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনতে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। নারী-পুরুষের মাঝে বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করায় আমাদের আন্তরিক প্রয়াস ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য নেমে আসে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।
শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শপিংমল, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।
ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.