জুমবাংলা ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, `যারা বলেন বিএনপি আন্দোলন করে না, রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে! আমাদের আন্দোলন চলছে। হয়ত সাময়িক বিরতি আছে।আজ রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিরোধীদলকে জেলে ভরে কেটে-মেরে বলছেন দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। মনে রাখবেন, বিএনপি এখনো আছে এবং থাকবে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেডআরএফ-এর প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান।
সরকারের ব্যর্থতায় দেশে দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের মানুষের কথা বলাসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কৃষি খাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আপনারা জানেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। দুইদিন আগে নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মাঝে যে ঘটনা সেটা হলো ছাত্রলীগ ও পুলিশের ইন্ধনে। এজন্য তারাই দায়ী। উল্টো তারা বিএনপি নেতার নামে মামলা দিয়েছে। আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।
বিএনপি মহাসচিব সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এমতাবস্থায় গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকল পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতির সাথে সমাজের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কাজ করছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের সময় অসংখ্য সেবামূলক কাজ করেছে ফাউন্ডেশন। সমাজের সাথে সংযোগ বজায় রাখছে জেডআরএফ। মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে দেশের আসল চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও আইনের শাসন খর্ব করা হয়েছে- সেগুলো বলা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কারাবন্দি করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার অন্যায়ভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। আর সরকার মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।