বিনোদন ডেস্ক: ‘শুধু আমার নায়ক নন, ফারুক ভাই ছিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের অভিভাবক। আজ সকালে যখন তার চিরবিদায়ের খবরটি পেলাম কান্না চেপে রাখতে পারিনি। বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠল। মনে হচ্ছে পৃথিবীটা শূন্যতায় ভরে গেল।’ চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এভাবেই বলছিলেন অভিনেত্রী রোজিনা।
কথাগুলোর বলার সময় ফুফিয়ে কাঁদছিলেন তিনি। টেলিফোনের উপাশ থেকে কান্নার শব্দ আঁচ করা গেল সহজেই। বললেন, আমাদের মিয়া ভাই অবশেষে চলেই গেল!
সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ফারুক। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
ঢাকাই ছবির ‘লাঠিয়াল’খ্যাত এই নায়কের বিপরীতে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন রোজিনা। এরমধ্যে রয়েছে হাসু আমার হাসু, মান অভিমান, সুখের সংসার, সাহেব, শেষ পরিচয়সহ অনেক সিনেমা। সবগুলোই ছিল সামাজিক গল্পের সিনেমা। বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা সিনেমাগুলো বেশ ভালো ভাবেই গ্রহণ করেছিলেন।
ফারুককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রোজিনা বলেন, ’নায়ক বলি বা সহশিল্পী বলি, ফারুক ভাই সাংঘাতিক রকমের একজন কর্মঠ মানুষ। মুখের উপর সত্য কথাটা বলে দিতে পারতেন। এমন স্বভাবের মানুষ খুব কমই দেখিছি। চলচ্চিত্রের দুর্দিনে তিনিই তো হুংকার দিয়ে এফডিসিতে এগিয়ে এলেন। সবাইকে এক করে নতুন করে কাজের উদ্যম দিলেন।’
‘ফারুক ভাই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত ছিলেন। তবুও মনে হত তিনি আমাদের পাশে আছেন, কিন্তু এখন তো চিরতরে চলে গেলেন। চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রি শক্তিমান এক অভিভাবক হারাল। এমন বলিষ্ঠ অভিভাবক আর আসবে না। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন ফারুক ভাই।’
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শূন্য হয়েছিল: ফারুকের চিকিৎসায় বিক্রি করতে হয়েছিল ১৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।