জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একই কলেজে লেখাপড়ার সুবাদে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এক আদিবাসী তরুণী। তবে তার প্রেমিক এখন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। এতে করে বিয়ে ও অনাগত সন্তানের স্বীকৃতি পেতে দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন ওই তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের রানী দিঘি গ্রামের ওই কলেজছাত্রীর (২১) সঙ্গে গুড়পিপুর গ্রামের গজেন্দ্রনাথ উড়াঁও এর কলেজে পড়ুয়া ছেলে মিঠুন উড়াঁও (২২)-এর চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর একপর্যায়ে তরুণীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ওই আদিবাসী তরুণী অনাগত সন্তানের কথা ভেবে বিয়ের জন্য প্রেমিক মিঠুনকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু এতে সাড়া না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রেমিকের অভিভাবকদের কাছে বিয়ের জন্য ধর্ণা দেন।
কিন্তু এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে নিরুপায় হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে আদিবাসী ওই কলেজেছাত্রী মিঠুনের বাড়িতে বিয়ে ও অনাগত সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন। একপর্যায়ে রাতে প্রভাবশালী মিঠুনের বাবা ওই মেয়েকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই তরুণীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে দুজনের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে দেনদরবার হলেও প্রেমিক মিঠুনের বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি পাত্তা দিচ্ছেন না। কিন্তু মিঠুন আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’
তরুণীর মা ভারতী রানী উড়াঁও বলেন, ‘দীর্ঘদিন হলো বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা চেষ্টা করেও মিঠুনের প্রভাবশালী বাবার কারণে সুরাহা করতে পারছি না। তাহলে অন্তঃসত্ত্বা আমার মেয়েটি এখন কোথায় যাবে?’
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’
অপরদিকে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছেলে-মেয়ের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।