জুমবাংলা ডেস্ক: নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে ডিসির বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকি, তাহলে জেলা প্রশাসকও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বক্তব্য এডিট করে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ কাজ করা হয়েছে। ডিসির নির্দেশেই এসব কল রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে।’ প্রকাশিত কল রেকর্ডের ভয়েস তার না বলেও দাবি করেন এমপি নিক্সন। জেলা প্রশাসক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করেছেন উল্লেখ করে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান। এছাড়া যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তার কথোপকথোনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে তার সঙ্গে মধুর এবং ভাই-বোনের সম্পর্ক বলেও দাবি করেন নিক্সন চৌধুরী।
তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন দাবি করেন, তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকি তাহলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’
নির্বাচনের আগের দিন বেশ কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে নিক্সন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের আগের রাতে ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। বিএনপির প্রার্থীকে জেতানোর জন্যই অতিরিক্ত ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেয়া হয়।’
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, মুজিবর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিইসি বলেন, আমরা জানি, অভিযোগ আছে। অভিযোগটা আমরা সঙ্গে সঙ্গে জেনেছি। কমিশনারদের সাথে আলোচনা করেছি। করণীয় বিষয় নির্ধারণ করেছি। আজকে বা কালকের মধ্যেই করণীয় ঠিক করা হবে। অবশ্যই যে আচরণ সংসদ সদস্য করেছেন নির্বাচন পরিচালনা করার সময়, সেটা কাম্য নয়। আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। আইনে যেরকম বিধিবিধান আছে, তার ব্যাপারে সেটা প্রযোজ্য হবে।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার অভিযোগ ওঠে। এমনকি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ব্যবহারের অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে।
তারপর ডিসি-ইউএনওসহ নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে নির্বাচনি আচরণবিধির পরিপন্থি উল্লেখ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সোমবার চিঠি দেন ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।