স্পোর্টস ডেস্ক : নাম শুনে বাংলাদেশি বলেই মনে হবে শুরুতে। যদি জানেন বিদেশি, তাহলে পাকিস্তানি ভাবতে পারেন। শ্রীলঙ্কান কিছুতেই না। নাভিদ নেওয়াজ নামটাই তো অমন!
সেই তাঁকে যখন বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়, কী মনে হয়েছিল শুরুতে? যুবদলকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠাতে পারবেন। বড় জোর সেমিফাইনাল। শিরোপা জেতাতে পারবেন না কিছুতেই। কিন্তু সেটিই তো করে দেখালেন লঙ্কান কোচ!
দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি থাকা নেওয়াজের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা যে দিয়েছে বিসিবি, তাতে তাই আশ্চর্যের কিছু নেই।
তবে বিশ্বজয়ের পর এক মধুর অনুযোগ করলেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ নাভিদ নেওয়াজ। বিশ্বকাপ জিতেছেন কিন্তু হাতে এর কোনো প্রমাণ নেই বলেই মনে করেন তিনি।
নেই কারণ বিশ্ব জয়ের কোনো স্মারকই যে এবার কোচিং স্টাফের সদস্যদের দেয়নি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি! তা নিয়েই বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান খালেদ মাহমুদের কাছে অনুযোগও করেছেন এই শ্রীলঙ্কান কোচ।
এমনিতে আইসিসির কোনো আসরের ফাইনালের বিজয়ী এবং পরাজিত, দুই দলের জন্যই মেডেল বরাদ্দ থাকে। সেটি ক্রিকেটাররা যেমন পেতেন, তেমনি কোচিং স্টাফের সদস্যরাও। ‘পেতেন’ বলার কারণ এবার বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপ জেতার পর ক্রিকেটারদের দেওয়া হলেও দলের অন্যদের জন্য কোনো মেডেল ছিল না।
দলের একদিন আগেই দেশে ফেরা খালেদ মাহমুদ তাই একটু বিস্মিত, ‘আইসিসি কেন এটা করল, বুঝলাম না।’
হেড কোচের অনুযোগের কথাও জানিয়েছেন, ‘হেড কোচ এটি নিয়ে খুবই মনক্ষুণ্ণ। আমাকে বললেন, ‘আমি যে বিশ্বকাপ জিতেছি, এর প্রমাণ কই? কেউ দেখতে চাইলে তো দেখাতেও পারবো না। একটি মেডেলও পেলাম না।’ দলের অন্যদেরও মেডেল দেওয়া উচিত ছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।