বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশি শোবিজে জনপ্রিয় নাম বাঁধন। লাক্স তারকা হিসেবে পথচলা শুরু করেছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি পেয়েছেন।
এরপরই চমক দেখিয়েছেন বলিউডের ‘খুরফি’ সিনেমায় নাম লিখিয়ে। বিশাল ভরদ্বাজের সিনেমাটিতে তাকে বাংলাদেশি নারীর চরিত্রেই দেখা যাবে। চারদিকে বাঁধনের এখন বসন্ত নেমেছে। তবে মাঝখানে অনেক খারাপ সময় পার করতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে।
আজকের এই অবস্থানে আসা সহজ ছিল না। এক সময় হতাশা ও কষ্টে আ ত্মহ ত্যার পথও বেছে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। বারবার আ ত্মহ ত্যার জন্য পা বাড়িয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ফিরে এসেছেন মনের জোরে, একমাত্র মেয়ের কথা ভেবে।
ভেঙেচুরে নিজেকে তৈরি করেছেন। পুরনো হতাশাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এই অভিনেত্রী এখন নিজেকে তৈরি করেছেন নতুনভাবে। এর পেছন তার সংগ্রামী জীবনে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’র সাফল্য অন্যতম কারণ বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে বাঁধন বলেন, ‘আগের চেয়ে সংগ্রাম আরও বহু গুণে বেড়ে গেছে। সঙ্গে আমার সাহসও অনেক বেড়েছে। আমি আগের সেই ভেঙে পড়া, দুর্বল বাঁধনটা আর নেই; যাকে খুব সহজে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলা যেত। আমার বাচ্চা নিয়ে মামলাটা এখনো কোর্টে চলছে। সেটা নিয়ে কিছুদিন আগে একটা রায় হয়েছে। শিগগিরই এই বিষয়টি নিয়েও কথা বলবো। ’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, যেটা সবসময় ছিল, সেটা এখনো আছে। যে মানুষগুলো আমাকে অপমান করেছিলেন, মানসিকভাবে আঘাত দিয়েছিলেন, তারা তাদের মতো একই জায়গাতে রয়েছেন। কেউ কেউ অবশ্য রূপ পাল্টেছেন, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তার তার জায়গায় রয়েছেন। তবে মূল পরিবর্তনটা শুধু হয়েছে আমার ভেতরে। আমি এখন আর এগুলো গায়ে লাগাই না। এই পরিবর্তনটা খুব দরকার ছিল, বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ থাকার জন্য এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। ’
৭৪তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হওয়া প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ৩০ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। এ উপলক্ষে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাঁধনসহ সিনেমাটি সংশ্লিষ্ট অনেকে।
আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।