স্পোর্টস ডেস্ক : সাফল্য তার পায়ের সামনে গড়াগড়ি খায়। বিরাট কোহলির এখন কোনো কিছুর অভাব নেই। কিন্তু একটা কষ্ট মনের মধ্যে রয়েই গেছে তার-বাবার মৃত্যু।
সবাইকেই একটা সময় পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হবে। এটাই নিয়তি। কিন্তু কোহলির কষ্টটা একটু বেশিই। বাবাকে যে মৃত্যুর সময়টায় চিকিৎসাও করাতে পারেননি।
২০০৬ সালের ঘটনা। তখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি কোহলির। তাকে মানুষ সেভাবে চিনতোও না।
ওই সময়টায় রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ ছিল ভারতীয় অধিনায়কের। কর্ণাটকের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রথম দিনে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
দিনের খেলা শেষে বাসায় ফেরেন। পরের দিন আবার মাঠে নামবেন। ওইদিনই রাতে জীবনের সবচেয়ে কষ্টের মূহুর্তটা চলে আসে কোহলির।
রাত তিনটার দিকে পরপারে পারি জমান তার বাবা প্রেম কোহলি, তাকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে সেই সুযোগটিও হয়নি।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে এক সাক্ষাতকারে বাবার মৃত্যুর সেই কষ্টদায়ক স্মৃতিটির কথা বলছিলেন কোহলি। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আমার হাতের ওপরই মারা যান বাবা। রাত তখন তিনটা।
বাবাকে কোনো চিকিৎসা করাতে পারিনি। প্রতিবেশিদের কাছে সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ডাক্তার যাদের চিনতাম, ফোন দিয়েছি। কিন্তু এত রাতে কেউই সাড়া দেননি। যখন অ্যাম্বুলেন্স আর অন্যান্য ব্যবস্থা হলো, ততক্ষণে সব শেষ।’
কিন্তু কোহলির ওই মৃত্যুশোক নিয়ে পড়ে থাকার উপায় ছিল না। পরের দিন রঞ্জি ট্রফিতে আবারও মাঠে নামতে হয়।
৪০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দলের বিপদের মুখে ৯০ রানের এক ইনিংসও খেলেন ভারতীয় অধিনায়ক। এতটুকু দমে যাননি।
যাবেন কিভাবে? কোহলির বাবার যে ইচ্ছে ছিল, তার ছেলে বড় ক্রিকেটার হবে। বাবার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে।
তবে ছেলেকে সেই খ্যাতির শিখরে দেখা হয়নি বাবার। কষ্টটা তাই সারাজীবনই বয়ে বেড়াতে হবে বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।