বগুড়ার ছেলে আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ও পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর একসঙ্গে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হিরো আলম বেশকিছুদিন ধরেই গান গাওয়া শুরু করেছেন।
যখন যে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডে চলে আসে তখনই হিরো আলম সে বিষয় নিয়ে গান করেন এবং এটা খুবই সুক্ষ্মভাবে বাণিজ্যিক বলে অভিযোগ করছেন নেটিজেনরা। শুধু সাধারণ জনতাই নয়, এবার অনেক শিল্পীও আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
তার এমনসব কন্টেন্ট পরিহার করার আহবানও এসেছে।
হিরো আলুম একের পর এক গেয়ে আসছিলেন আলোচিত গান। তাল লয় সুরের ধারই ধারছিলেন, যে বিষয় আলোচিত, যে গান আলোচিত সেটিই তিনি গানে নিয়ে আসছিলেন। তাকে সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন কিছু মিউজিশিয়ান, যারা কোনোভাবেই আলোচিত হননি- হিরো আলমকে সঙ্গী করে আলোচিত হবার চেষ্টা করছেন- অভিযোগ এমনই।
সম্প্রতি রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে তুমুল সমালোচনার কবলে পড়েছেন এই ‘সোশ্যাল পারসন। ‘ সংগীতশিল্পী বেলাল খান বলছেন, ‘ওর এইসব শিল্প মানহীন কন্টেন্টে মোটেও দেশ জাতির কোনও উপকার নেই এবং এগুলো যেহেতু সে এখন বাণিজ্যিকভাবে নিয়মিত করছে, তাই আমাদের উচিত ওর সবকিছুই এড়িয়ে যাওয়া। ‘
তিনি একটি পোস্টের মন্তব্যে এ কথা বলেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ হিরো আলমের নামে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন উঠতি বাংলাদেশি নির্মাতাও রয়েছে।
তবে এসব বিষয় নিয়ে একদমই চিন্তিত নন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। শনিবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে হিরো আলম বলেন, ‘আমি অনেক গান গাইছি। কিন্তু রবীন্দ্রসংগীত আসলে গাইনি। আপনারা যেটা দেখতেছেন, সেটা তো অল্প একটু গাইছি। একটা পিকনিকে গেছিলাম, সেখানে গাইছি। এইভাবে রবীন্দ্র সংগীত গাইলে তো আমার নামে মামলা হয়ে যাবে। আমি রবীন্দ্র সংগীত গাবো না। ’
যেটা ভাইরাল হয়েছে সেটা কোনো অফিশিয়াল কোনো গান না- এমনটাই উল্লেখ করে আলম বলেন, ‘‘আমি কেকে’কে স্মরণে একটা গান গাইছি। সেটা কাল রাতেই রিলিজ হয়েছে। আপনারা সেইটা শুনতে পারেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত যেইটা ভাইরাল হইছে সেইটা আমি শখ করে গাইছি দুই তিন লাইন। ওইটা অফিশিয়াল না। ’’
বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখন তিনি ক্যাবল ব্যবসা শুরু করেন। ক্যাবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে গানের ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম।
ইউটিউবে হিরো আলমের এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তাঁর ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল। এরপর তিনি শুরু করেন সিনেমা প্রযোজনা ও অভিনয়। গত নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন আলম। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শোতে কথা বলার সুযোগ পান। এভাবেই নানা কারণে তিনি আলোচনায় রয়েই যাচ্ছেন।
আল্লু অর্জুন ও প্রভাসকে টেক্কা দেবেন সালমান!, বক্স অফিসে কে এগিয়ে থাকবেন?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।