সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিজিট ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবেদন করার উপর তাদের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। পাকিস্তান ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (পিওইএ) মুখপাত্র আদনান পারাচা এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ইতিমধ্যে ২২টি শহরে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিজিট ভিসা প্রদান নিষিদ্ধ করেছে। তবে, আমিরাত সরকান এখন নিষিদ্ধ শহরের তালিকায় আরও দুটি শহর যুক্ত করেছে। এ নিষেধাজ্ঞায় ব্যবসায়ীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পরাচার মতে, ট্রাভেল এজেন্টদের ভুল বক্তব্যই এই সমস্যার প্রাথমিক কারণ। তিনি বলেন, এজেন্টরা ভিজিট ভিসায় লোক পাঠাতো এবং তাদের কাজের ভিসায় পাঠানো হচ্ছে বলে বিভ্রান্ত করতো।
পরে, যখন এই লোকেরা চাকরি খুঁজে পায় না, তখন তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস্তায় ভিক্ষা করতে শুরু করে এবং সরকার তাদের বহিষ্কার করে। প্রথমত, পাকিস্তানের ১২টি শহরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এ দেশের নাগরিকদের অনুমতি প্রদান করবে না।
তারপর সংখ্যাটি ২২-এ উন্নীত করা হয়েছিল, এবং এখন আরও দুটি লোকেশেন যুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আর এই ২৪টি শহরে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের ভিসিট ভিসা দেবে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ পাকিস্তানি শহরগুলির তালিকা হল: অ্যাবোটাবাদ, ডেরা গাজি খান, কোয়েটা, খোশাব, মুজাফফরগড়, সারগোধা, অ্যাটক, ডেরা ইসমাইল খান, কাসুর, কুররাম এজেন্সি, নবাবশাহ, শেখুপুরা, বাজাউর এজেন্সি, হাঙ্গু, কোহাট, লারকানা, পাড়া। চিনার, স্কারদু, চকওয়াল, হুনজা, কোটলি, মেহমান্দ এজেন্সি, সাহিওয়াল এবং শুক্কুর।
আগস্টে, জাল রিটার্ন টিকেট এবং অন্যান্য সমস্যার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৮০ জন পাকিস্তানিকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরচা পরামর্শ দেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারকে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা উচিত, যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাভেল এজেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।