জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু ও তার মেয়েকে নিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন রিজভীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে থানায় ডেকে আনা হয় এবং বুধবার দুপুরে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে এ মামলায় গত ৬ ডিসেম্বর রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বী তার নিজ নামের ফেসবুক আইডি ও মেসেঞ্জার দিয়ে আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সম্পর্কে গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা ২২ মিনিটে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে।
এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু পরদিন রাতে ঝালকাঠি থানায় রাব্বীকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা রেকর্ডের কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে শহরের সাধনার মোড় থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মেসেঞ্জারের সেই স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন রিজভীর বিরুদ্ধে। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলায় সন্দিগ্ন আসামি করে। তার মোবাইলফোনটি জব্দ করা হয়। বুধবার বিকেল ৩টায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, রিজভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার মোবাইলফোনটি জব্দ করা হয়। বিভিন্ন মেসেঞ্জারে স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তাকেও এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।