জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের সীমান্তবর্তী জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আমের নগরী হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁসব বিভিন্ন জেলা শহরে আমের দাম কমেছে। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় আমের দাম প্রতি কেজি ১৬ টাকা হলেও রাজধানীতে এসে তা দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে ট্রাকের ভাড়া ও রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজিকে দায়ী করছেন আম ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহীতে আমচাষীরা ৬৫০-৭৫০ টাকা প্রতি মণ আম বিক্রি করছেন। এবার আম উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে নওগাঁ জেলা। আমের ফলন হয়েছে বেশ ভালো। ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের আম। কিন্তু করোনা ও লকডাউনের কারণে আমের দরপতনে চাষিদের মুখে হাসি ফোটেনি। চাষিদের অভিযোগ, করোনার কারণে বাইরের ক্রেতার অভাবে আমের বাজার ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় আড়তদার ও ফড়িয়ারা। এতে করে অনেক কৃষক আমের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে চাষিদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। তাদের ভাষ্য, ‘হাটে আম আছে, ক্রেতা নেই’।
চাষিরা বলছেন, লকডাউন ও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাইরের কোনো ব্যবসায়ীরা আম কিনতে আসছে না। যাত্রী পরিবহন সংকটে বাইরের ক্রেতারা হাটে আসতে পারেননি। এ সুযোগে স্থানীয় আড়তদাররা যারা অন্য সময়ে বাইরের ব্যবসায়ীদের কমিশনে আম কিনে দিতেন, তারাই এখন আম বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। তারা চাষিদের থেকে কম দামে আম কিনে বেশি দামে বাইরের ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করছেন।
গত হিমসাগর ও গোপালভোগ প্রতি মণ আম বিক্রি হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা সেখানে বিক্রি হচ্ছে। এবার সেই তুলনায় আম কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে আমচাষী শাহজাহান মিয়া বলেন, এবার আমের দাম কিছুটা কম। গত মৌসুমে আঁচার ও জুস কোম্পানি প্রচুর পরিমাণে গুটি ও লখনা আম ক্রয় করেছে। কিন্তু এবার তাদের তেমন আম কিনতে দেখা যাচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।