আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, সৌদি আরবের আরামকো তেল স্থাপনার ওপর হামলায় ইরান জড়িত বলে আমেরিকা যে অভিযোগ করেছে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে মিথ্যা ও প্রতারণা। আমেরিকার কথিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাপ সৃষ্টির ব্যর্থতা ঢাকতে ইরানের বিরুদ্ধে তারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাপ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার পর আমেরিকা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। আব্বাস মুসাভি বলেন, ইরান দারিদ্র্যপীড়িত ইয়েমেনের জনগণ এবং তাদের অধিকারের প্রতি সমর্থন দেয় তবে আমেরিকার এই অভিযোগের কোন মূল্য নেই। সৌদি আরবের আগ্রাসনের মুখে ইয়েমেনের জনগণ হাত-পা গুটিয়ে অলসভাবে বসে থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসনের কারণে ইয়েমেনের জনগণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখে রয়েছেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে সৌদি আরব ইয়েমেনের জনগণের বিরুদ্ধে এই বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় হুথি যোদ্ধারা ও তাদের সেনাবাহিনী যদি সৌদি আরবের অব্যাহত বর্বরতার জবাব দেয় তাহলে তা হবে স্বাভাবিক ব্যাপার।
আরামকো তেল কোম্পানির ওপর ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলার পর আগুনের কুণ্ডলি। ছবি: সংগৃহীত
আব্বাস মুসাভি বলেন, আমেরিকা যে অভিযোগ করেছে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সৌদি আরবসহ এ অঞ্চলের অন্য আরব দেশগুলোকে আমেরিকার ওপর বেশি নির্ভরশীল করে তোলা। যারা সৌদি আরবের কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে তারা এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি দিয়ে রিয়াদকে আরো বেশি পরনির্ভরশীল করে তুলছে চায়।
ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী শনিবার ভোরে সৌদি আরবের আরামকো তেল কোম্পানির দুটি স্থাপনায় ড্রোনের সাহায্যে ব্যাপক হামলা চালায়। ওই হামলার কারণে সৌদি আরবের তেল এবং গ্যাসের উত্তোলন শতকরা ৫০ ভাগ কমে গেছে।
হামলার পরপরই আমেরিকা এ ঘটনার জন্য ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো রকমের তদন্ত এবং তথ্য প্রমাণের প্রয়োজন মনে করে নি তারা। ইরান অবশ্য আমেরিকার এই ভিত্তিহীন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।