জুমবাংলা ডেস্ক : আয়নাঘর নামে পরিচিতি পাওয়া গোপন বন্দিশালার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সাবেক মেজর জেনারেল ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) হাজির করা জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আয়নাঘরের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না।’
এর আগে একসময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জিয়াউলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অভিযোগ পড়ে শোনান প্রসিকিউশন।
পরে ট্রাইব্যুনাল এক মাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আনা তদন্ত শেষ করতে প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেন।
অভিযুক্তদের আদালতে বক্তব্য রাখার বিধান না থাকলেও সাবেক এই সেনাসদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল। তখন তিনি বলেন, এনটিএমসিতে তিনি প্রযুক্তিগত কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
জিয়াউলের আইনজীবী ও বোন নাজনীন নাহার আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, ‘এনটিএমসি কখনো কাউকে অনুসরণ করেনি।’
এদিকে শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় সাংবাদিকের দেখেও একই কথা জানান জিয়াউল আহসান।
দুপুর দেড়টার দিকে জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনাল থেকে বের করা হয়। বেরিয়ে প্রথমেই তিনি হাত নাড়েন গণমাধ্যম কর্মীদের দিকে। তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত হাত নামিয়ে নিতে বলে নিজেরাই হাত নামিয়ে দেন জিয়াউল আহসানের।
প্রিজন ভ্যানের দিকে যাওয়ার সময়ই তিনি চিকিৎকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলতে থাকেন, ‘আমি কখনই আয়নাঘরে চাকরি করিনি।’ প্রিজন ভ্যানে উঠেও তিনি ভিতর থেকে বলতে থাকেন, আমি আয়নাঘরে কখনও চাকরি করিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।